গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলায় আজ বুধবার (২৫ জুন) খন্দকার শাহ আলম (৪৫) নামে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ নিহত সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার করে মযনা তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় টাইগার বাবুল ডাকাত (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সাংবাদিক তিন কন্যা এক পুত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রী সৌদী প্রবাসি।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার দক্ষিন কাইতলা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা, নবীনগর নিউ মডেল প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খন্দকার শাহ আলমের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রে যাওয়ার উদ্যেশ্যে গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু পথিমধ্যে দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে একই গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত, একাধিক মামলার আসামি টাইগার বাবুল দিনে দুপুরেই ওদের কাছ থেকে মোবাইল ও মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে সাংবাদিক শাহ আলম ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে, টাইগার বাবুলের সাথে শাহ আলমের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় টাইগার বাবুল সাংবাদিক শাহ আলমের বুকে উপর্যপুরি কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক শাহ আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন দৌড়ে এসে টাইগার বাবুলকে আটক করে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয় শিক্ষক আবু নাছিম সরকার ও কণ্ঠশিল্পী দৃষ্টিহীন রবিউল আলম জানান,’সাংবাদিক শাহ আলম ‘আলম মিডিয়া’ নামে একটি ফেসবুক টিভি চালাতেন। এই টিভিতে এলাকার নানান খবরাখবর সে তুলে ধরতো। তার বাবা সঙ্গীতের প্রখ্যাত ওস্তাদ আহমেদ খন্দকার ভারতেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সেই গুণী মানুষের ছেলেকে এভাবে প্রকাশ্যে মেরে ফেলা হল। আমরা এর কঠোর বিচার চাই।’
নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম বিকেলে বলেন,’লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ডাকাত টাইগার বাবুলকে আটক করা হয়েছে। মামলাও প্রক্রিয়াধীন আছে।’