ফেনীর সময় এর সাংবাদিকদের দিনব্যাপী কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

দৈনিক ফেনীর সময় পত্রিকার সাংবাদিকদের নিয়ে দিনব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা শেষ হয়েছে। রবিবার বিকালে শহরের জেলা হেড কোয়ার্টার সম্মুখস্ত এলজিইডি ভবনের কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে সমাপনী পর্বে সনদ ও পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাকির হাসান। বরেণ্য শিক্ষাবিদ, ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর তায়বুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক সমকাল সহযোগি সম্পাদক লোটন একরাম, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আল ফারুক, ফেনী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর উৎপল কান্তি বৈদ্য।

 

এর আগে সকাল ১০টায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক প্রফেসর রফিক রহমান ভূঁইয়া। দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কালেরকন্ঠ ফেনী প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান দারা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

 

কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন (বিষয়- ‘পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে করনীয়’), দৈনিক সমকাল এর সহযোগি সম্পাদক লোটন একরাম (বিষয়- ‘সাংবাদিকতার নানামুখী চ্যালেঞ্জ- মোকাবেলার কৌশল’), সময় টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও নিউজ প্রেজেন্টার ত্বোহা খাঁন তামিম (বিষয়- ‘মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম সময়ের চাহিদা’), দৈনিক কালেরকন্ঠ ফেনী প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান দারা (বিষয়- ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ ও করনীয়’)।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, “শিক্ষার যেমন শেষ নেই, প্রশিক্ষণেরও শেষ নেই। প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু শিখতে হয়। আমরা যে যে পেশায় থাকি না কেন সেখানে আমাদের দক্ষতার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন পরিবর্তনশীল এ বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন নতুন যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেই সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয়। দক্ষতা সবার থাকতে পারে। কিন্তু আরো দক্ষ হওয়ার জন্য অবশ্যই প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এ কারণে যারা আপনারা এ পেশার সাথে জড়িত আছেন তারা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে যাবেন সে প্রত্যাশা রাখি।”

 

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর তায়বুল হক বলেন, “আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক যে অবক্ষয় তা তুলে ধরে সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা তাদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক যে প্রশিক্ষণ এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সাংবাদিকতা আরো বিকশিত হয়। সাংবাদিকরা যারা অর্ধচেতন তাদের চেতনাকে জাগিয়ে দেবে। আমাদের বর্তমান সার্বিক যে অবস্থা, আমি সার্বিক বলতে কোন ক্ষেত্রকে বুঝাচ্ছি না। একটা দেশ যতটুকু ইমেজ নিয়ে চলে সকল ক্ষেত্রে একটা অবক্ষয় চলতেছে। এই অবক্ষয় রোধের জন্য জন্য আমাদের চমক জাগিয়ে দিতে হবে। এ অবক্ষয় সর্বত্র আছে। এ বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য সে আস্থাবান লোক নেই। অনেকে সুবিধা নিয়ে থাকে। যেদিকে সুবিধা ওইদিকে ধাবিত হয়ে পড়ে। আমাদের বিবেক লোপ পেয়ে গেছে। আপনারা যারা এখানে সাংবাদিকরা আছেন আমরা আশা করবো এমন কতগুলো পেশা সারা পৃথিবীব্যাপী এখনো আছে যে পেশাগুলো মানুষ জেনেশুনে বিষপান করে। মাথায় রাখতে হবে, যেমন আমরা যারা শিক্ষকতায় আছি তারা সারাবিশ্বের শিক্ষকদের প্রতিনিধি এবং একইসাথে সাংবাদিকরা যারা আছে তারাও একইভাবে সারাবিশ্বের সাংবাদিকদের প্রতিনিধি। আমি বলবো সাংবাদিকরা খাগোশির উত্তরসূরী, আব্দুস সালামের অনুসারী, জহুর হোসেন চৌধুরীর উত্তরসূরী, শহীদুল্লাহ কায়সারের অনুসারী এবং এবিএম মূসার অনুসারী আপনি। এরা আমাদের ফেনীর। ফেনীর সাংবাদিকরা তৎকালীন পাকিস্থান থেকে সুপরিচিত। উনারা যদি পারেন আপনারা কেন পারবেন না। আপনারাও পারবেন। আপনি যদি আপনার দায়িত্বের প্রতি, পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছ থাকেন তাহলে ভালো করবেন। আপনারা যে বিষ গ্রহণ করেছেন, যে দায়িত্ব নিয়েছেন সে কাজগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেন স্বচ্ছতার সাথে করতে পারেন সে প্রত্যাশা করি।

অপরাপর রিসোর্সপার্সনগণ পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সততা, একনিষ্ঠতা, পরিশ্রম, পেশাদারিত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

কর্মশালায় ফেনীর সময় এর বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত ২৫ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

Post Under