সাহেদকে নিয়ে গ্রেফতারের সেই স্থান ঘুরে এল র‌্যাব

বহুল সমালোচিত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘প্রতারক’ মো. সাহেদকে অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকার যে স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, অবৈধ অস্ত্র মামলার তদন্তের স্বার্থে সাহেদকে নিয়ে সেই স্থান ঘুরে এসেছে র‌্যাব।

লাইসেন্স না থাকা, পরীক্ষা না করে করোনার রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের দুই শাখায় (উত্তরা ও মিরপুর) অভিযানের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। গ্রেফতার এড়াতে নিয়েছিলেন ছদ্মবেশ। কিন্তু র‌্যাবের জালে ধরা তাকে পড়তেই হয়েছে।

বোরকা পরে একটি নৌকায় দেবহাটার পারুলিয়া ইউপির কোমরপুর গ্রামের ইছামতি নদী সংযুক্ত লাবণ্যবতী নদীর কুমড়োর খাল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন তিনি। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে সাহেদকে সাতক্ষীরার অবৈধ অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনায় নেয় র‌্যাব-৬। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরার দেবহাটার গ্রেফতারের সেই স্থান ঘুরে এসেছে র‌্যাব।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ১১ মিনিটে সাহেদকে গ্রেফতারের স্থান দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়নের শাখরা কোমরপুরের নিয়ে আসে র‌্যাব। লাবণ্যবতী নদীর ওপর কোমরপুরের বেইলি ব্রিজে নিয়ে আসা হয় তাকে। সাহেদের মাথায় হেলমেট ও শরীরে র‌্যাবের নিরাপত্তা জ্যাকেট ছিল। এ সময় উৎসুক জনতা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের ব্রিজ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সরিয়ে সাহেদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন তদন্তকারী র‌্যাব কর্মকর্তা। পরে সাহেদকে ব্রিজের ওপর থেকেই আবার গাড়িতে উঠিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেয় র‌্যাব।

সূত্র মতে, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় দেবহাটায় গ্রেফতার হওয়া মো. সাহেদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাতক্ষীরার ভার্চুয়াল আদালত।

এর আগে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গত ২৭ জুলাই বিকালে সাহেদকে খুলনাস্থ র‌্যাব-৬ কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‌্যাব। পরদিন মঙ্গলবার থেকে তার রিমান্ড কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকা, পরীক্ষা না করেই করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়া, রোগীদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে ৬ জুলাই অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেয় র‌্যাব। ৭ জুলাই সাহেদকে প্রধান আসামি করে র‌্যাব উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। একই দিন হাসপাতালটির মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালিয়ে সিলগালা করা হয়। ১৩ জুলাই র‌্যাব মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

গত ১৫ জুলাই বোরকা পরে দেবহাটার পারুলিয়া ইউপির কোমরপুর গ্রামের ইছামতি নদী সংযুক্ত লাবণ্যবতী নদীর কুমড়োর খাল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাব সাহেদকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। মামলায় আসামি করা হয় সাহেদ, বাচ্চু মাঝি ও অজ্ঞাত একজনকে।

Post Under