স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ : অবশেষে গণধোলাইশেষ পুলিশে সোপর্দ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দূর সম্পর্কের আত্মীয় শাহাদাৎ। চেতনানাশকে বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে স্কুলছাত্রীকে করে ধর্ষণ, ধারণ করে ধর্ষণের ভিডিও। এরপর ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। অবশেষে গ্রামবাসীর হাতে পড়লো ধরা, গণধোলাইশেষে সোপর্দিত হলো পুলিশে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা এলাকার।

আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মিনারকোট গ্রামের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর সাথে ঘটলো এহেন জঘন্যতা।ধর্ষক শাহাদাত হোসেন (৩৬) পার্শ্ববর্তী
বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া গ্রামের লুৎফুর রহমানের পুত্র। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা করেছেন মামলা। বুধবার (১৪ অক্টোবর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

স্কুলছাত্রীর পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন ধর্ষক শাহাদাৎ হোসেন। সেই সুবাধে শাহাদাৎ প্রায়শই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। এমনকি কদাচ রাত্রিযাপনও করতেন। এরই এক পর্যায়ে এক রাতে ওই পরিবারের সবাইকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে কিশোরী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করাসহ ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। এরপর ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং টাকা দাবি করেন। গত ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতেও স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ধর্ষক শাহাদাৎকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুল আলম মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলা হবার পর ধর্ষক শাহাদৎকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে। মেয়েটিকে হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

Post Under