কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের সীমান্তবর্তী কসবা রেলস্টেশন ও সালদা ব্রীজ নির্মাণ কাজ দু’বছরেরও অধিক সময় বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (১২ মার্চ) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কসবা রেলস্টেশন রেলপথে নির্মাণকাজ শুরু। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পুনরায় চালু হওয়ায় কসবা সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। এই নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম পিবিজিএম। এসময় বিজিবি’র সুলতানপুর সেক্টর কমান্ডারসহ বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কসবা রেলস্টেশন এলাকায় নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে বিজিবি কমান্ডার সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, ৭২ কি.মি দীর্ঘ আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পটি আমাদের জাতীয় পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হলেও কসবা ও সালদা স্টেশনের অবস্থান সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের অজুহাতে বিএসএফ এর বাধায় গত ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে ঢাকায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে সীমান্ত সম্মেলনে বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে প্রকল্পটি চালুর বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়। এরই ধারাবাহিতায় চলতি বছরের ১ মার্চ বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বিএএম, এনডিসি, পিএসসি সরেজমিনে আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের কসবা রেলস্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ খুব দ্রæত শুরু হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই ফলশ্রুতিতে দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে এটি দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণকাজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে জাতীয় অর্থনীতিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ২৩ জোড়া ট্রেন চালু রয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এই পথে ৭২ জোড়া ট্রেন চলাচল করতে পারবে।