নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা শহরের আনাচে কানাচে গড়ে ওঠা অবৈধ ডায়াগনষ্টিক, ক্লিনিক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা সদর হাসপাতাল এবং কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। গত সোমবার কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তারকে ওই নির্দেশনা প্রদান করেন এমপি বাহার।
এসময় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কুমিল্লার সভাপতি ডা. আবদুল বাকী আনিছ, সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোর্শেদুল আলম, কুমিল্লা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব সহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমপি বাহার সিভিল সার্জনকে প্রশ্ন করে বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যদি চায় তালহে ভূয়া ডায়াগনষ্টিক, হাসপাতাল ও ক্লিনিক থাকে কিভাবে? থাকার তো কথা না। ব্যাঙের ছাতার মতো অলি গলিতে রোগীদের মানহীন চিকিৎসা সেবা দিয়ে প্রতারণা করার সুযোগ পেতো না। প্রশ্ন হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ এ বিষয়ে কতটুকু আন্তরিক।
স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সিভিল সার্জন এমপিকে বলেন, অভিযান পরিচালনা করার পর হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়ে আসলে রাতের বেলায় গোপনে হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে কয়েকটি হাসপাতাল, তারা নির্দেশনা মানছেন না। এ বিষয়ে এমপি বাহার বলেন, প্রয়োজনে রাতের বেলায় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল জরিমানা করো। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ লাগলে আমি ডিসি এসপিকে প্রয়োজনে বলে দিবো।
অভিযোগ রয়েছে, কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকার বাসা বাড়ি সহ অলিতে গলিতে ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার খোলে দালাল নির্ভর অপচিকিৎসা ও রোগীদের সাথে প্রতারণার হার বেড়েছে কুমিল্লা নগরীতে। অধিকাংশ হাসপাতালে ভূয়া চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ সেজে চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। সিএনজি ওবাস স্টেশনে দালাল বসিয়ে রেখে চিকিৎসা নিতে আসা সহজ সরল রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। বিভিন্ন হাসপাতালে একসময় ওয়ার্ড বয়, ক্লিনার ও প্যাথলজিতে চাকরি করা বিভিন্ন বয়সের লোকজনও তৈরি করছেন হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝেই অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হচ্ছে। তারপরেও অসাধু কিছু চক্রের কারনে অধিকাংশ ভূয়া প্রতিষ্ঠান বুক ফুলিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, অবৈধ ডায়াগনষ্টিক, ক্লিনিক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।