অশীতিপর বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁপ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে
অশীতিপর বৃদ্ধ মদন মোহন শীল। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন, আর ফিরেন নি। রাত আটটার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন ওই বৃদ্ধ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে করেছেন আত্মহত্যা! রহস্যজনক এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের।
শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের কলেজপাড়ার পূর্ব রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী আন্ত:নগর মহানগর গোধূলীর নিচে ঝাঁপ দেয়া মদন মোহন শীল (৮৫)  জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি গ্রামের মৃত ক্ষেত্র মোহন শীলের পুত্র। আত্মহত্যা করার আগে মদন মোহন শীল অসুস্থ ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী আন্ত:নগর মহানগর গোধূলি ট্রেনটি কলেজপাড়া রেলগেইট পাড় হওয়ার সময় হঠাৎ উত্তর দিক থেকে মদন মোহন শীল নামের ওই বৃদ্ধ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ার পর স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল-মামুন আহত মদন মোহন শীলকে চিকিৎসা দিয়ে সার্জারী বিভাগে ভর্তি দেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন৷ কিন্তু ঢাকা নেওয়ার আগে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ের অশীতিপর বৃদ্ধ মদন মোহন শীল।
আত্মহত্যা কেন করেছেন এবিষয়ে জানতে চাইলে মদন মোহন শীলের ছেলে মানিক শীল জানান, শনাবার সন্ধ্যের দিকে তার বাবা বাসা থেকে বের হয়েছিল। তারপর থেকে খোঁজে পাচ্ছিলেন না। রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতাল থেকে আসা ফোনে জানতে পারেন তার বাবা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে গুরুতর আহত হয়েছে। পরে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে দেখে তার বাবা মারা গেছে। তিনি আরও বলেন বাবার সাথে আমরা সবাই দুপুরে একসাথে খেয়েছি। বাবা আত্মহত্যা করার কোন কারণ দেখি না৷ কি কারণে তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, সেটা ভগবানই ভালো জানেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ (এস আই) সেতাফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। হাসপাতালেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে জানানো হবে।
Post Under