আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কসবায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭

মোহাম্মদ শাখাওয়াৎ হোসাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধ্বজনগর গ্রামের মোরশিদ মিয়া বাদি হয়ে ওইদিন রাতে তসলিমুর রেজাকে প্রধান আসামী করে ৮জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সদস্য তসলিমুর রেজা ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেনের মধ্যে দীঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় রাজনীতিতে তসলিমুর রেজা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম এবং মোক্তার হোসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ঘটনার সূত্রপাত তসলিমুর রেজার সাবেক এমপি শাহ আলমকে নিয়ে একটি ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তসলিম রেজা ও মুক্তার মেম্বারসহ ৭জন আহত হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত তসলিম রেজা ও মুক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত বাকি ৫জন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় একটি মোটরসাইকেলও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম গতকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তসলিমুর রেজাকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Post Under