একাত্তরের পর দেশে কোন প্রেস ক্লাবে হামলার কথা শুনা যায়নি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
 হেফাজতের হরতালে হামলা-ভাঙচুরে শিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শন করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারন সম্পাদক ইলিয়াছ খানের নেতৃত্বে ক্লাব নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনা মেনে নেয়া যায়না, সাংবাদিক সমাজ চুপ করে বসে থাকতে পারেনা। এটি আমাদের সবার ওপরই আঘাত। ১৯৭১ সালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। তাতে সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ আহত হয়েছিলেন। এরপর দেশের আর কোন প্রেস ক্লাবে হামলার কথা শুনা যায়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হামলা খুব স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে নেয়ার কারণ নেই। এর অনেকে গভীরে যেতে হবে। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের পাশে আছি। এব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও তথ্য মন্ত্রনালয়েরও দায়িত্ব আছে। শুধু লেকচার দিলে চলবেনা। বিষয়টি নিয়ে আমাদের যেখানে যেখানে কথা বলা দরকার আমরা কথা বলবো।
ফরিদা ইয়াসমিন আরো বলেন,পুরো দেশের সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সাংবাদিক সমাজের মধ্যে বিভক্তি আছে বলেই দুস্কৃতিকারী-মৌলবাদীরা হামলার সাহস পায়। তারা মনে করে এদের ওপর হামলা করলেও কিছু হবেনা। নাহলে সাংবাদিকরা কেনো টার্গেট হবে? কেনো সাংবাদিকদের গাড়ি পোড়াবে? আগে তো কখনো এমন ঘটেনি। পেশার কাজে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ খান বলেন, এটি একটি অশনী সংকেত।
জাতীয় প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো বক্তৃতা করেন যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী, নির্বাহী সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়া, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ। প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সদস্য রেজানুর রহমান,শাহনাজ বেগম পলি,শাহনাজ সিদ্দীক সোমা, সিনিয়র সদস্য জাহাঙ্গীর খান বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক জালাল আহমেদ। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি এবং সাধারন সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন হেফাজতের হরতাল-আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব এবং প্রেস ক্লাব সভাপতিসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়টি তুলে ধরেন।
Post Under