পটুয়াখালীতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এক কিশোর ও দুই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে স্থানীয়দের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক স্থান থেকে তিন মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতরা হলো-পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বিরাজলা গ্রামের দিনমজুর হাবিব হাওলাদারের ১৪ বছরের কিশোরী কন্যা নাসরিন আক্তার ও তার চাচা মজিবরের ছেলে সোহেল হাওলাদার (১৫)। অপর একটি ঘটনায় তানজিলা আক্তার (১৫) নামে আরও এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন জানান, নিহত নাসরিন ও সোহেল সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। পরস্পর আত্মীয় হওয়ায় উভয়ের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে পরিবারের আপত্তি ছিল না। এতে দুইজন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে গ্রামে কানাকানি হলে নাসরিন ও সোহেলকে খোলামেলা চলাচলে নিষেধ করে উভয়ের পরিবার। শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে দুইজনই ঘুমাতে যায়। সকালে দুইজনকে ঘরে না দেখে উভয়ের পরিবারের সদস্যরা খুঁজতে থাকেন।
এ সময় বাড়ির পাশের রেইন্ট্রি গাছের সঙ্গে উভয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্বজনরা।
ইউপি সদস্য মো. বেল্লাল হোসেন জানান, গাছের সঙ্গে একই রশির দুই প্রান্তে সোহেল-নাসরিনের মরদেহ ঝুলছিল। নিচে একটি বসার চেয়ার পড়েছিল। এছাড়াও মাটিতে কিছু চিপসের প্যাকেট, চকলেট, আঁচার, সেভেনআপ, চানাচুর পড়েছিল। সম্ভবত আত্মহত্যার আগে তারা কিছু সময় ওখানে কাটিয়েছিল। মৃত সোহেল ২০২০ সালে মাদারবুনিয়ার হাজিখালী মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করে এবং নাসরিন একই ইউনিয়নের হাজিখালী আ. হাই বালিকা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
অপরদিকে সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের কৌড়াখালী গ্রাম থেকে তানজিলা (১৫)নামে আরও এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, তানজিলা আক্তার প্রতিবেশী আউলিয়াপুর ইউনিয়নের জোবায়েদ নামে এক আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেমে লিপ্ত হয় এবং বিবাহের জন্য পরিবারের কাছে আগ্রহ জানায়। কিন্তু পরিবার এতে আপত্তি জানালে শনিবার রাতে গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করে।
এ প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি আখতার মোর্শেদ জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকালে একই রশিতে ঝুলন্ত দুই কিশোর-কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। এছাড়াও তানজিলা নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রেমঘটিত কারণে এসব মৃত্যু ঘটেছে। বাকিটা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।