এক বছর পর কবর থেকে তুলা হল শিশু মেহেদী হাসান রিফাতের লাশ

ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর পুনরায় দাফন সম্পন্ন

এমদাদুল হক সোহাগ
দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়া আদর্শ সদর উপজেলার সাতরা চম্পকনগর গ্রামের শিশু শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রিফাতের লাশ প্রায় এক বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নিহতের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য তার লাশ উত্তোলন করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনি রায়ের উপস্থিতিতে কবর থেকে রিফাতের লাশ উত্তোলন করে কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
এসময় এলাকাবাসী সহ নিহত মেহেদী হাসান রিফাতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মিতউর রহমান জানান, শিশু রিফাত হত্যার পর কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি পরবর্তীতে পিবিআইকে তদন্ত ভার দেয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে ডিএনএ পরীক্ষার জন্যে একবছর পর শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করা হলো।

২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে পাশের বাড়ির এক ম্যাডামের কাছে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘরের পিছনের ডুবায় লাশ ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।

নিহত মেহেদী হাসান রিফাত কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সাতরা চম্পকনগর মধ্যপাড়ার প্রবাসী আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে।
হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে সাথেই কোতয়ালী থানা পুলিশ প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাকে রিমান্ডে নিয়েও হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার কোন তথ্য আদায় করতে পারেনি। পরবর্তীতে কোতয়ালী থানা পুলিশ বিভিন্ন সূত্র ধরে হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে মামলাটি পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে পিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত মামলাটি তদন্তের মধ্যেই রয়েছে।

জানা যায়, নিহত মেহেদী হাসান রিফাতের ঘর থেকে এবং রাস্তার পাশ থেকে কয়েক ফোটা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেটি সহ আরো কিছু আলামতের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই নমুনার ফলাফল পিবিআইয়ের কাছে এসছে। কিন্তু হত্যাকান্ডের পর ময়না তদন্ত হলেও রিফাতের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। এখন পুনরায় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ  করে তার ফলাফলের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।

কুমিল্লা পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান আরো জানান, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর রিফাতের লাশ পুনরায় দাফন করা হয়েছে।

Post Under