সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারাগার থেকে বের করার পর প্রথমে কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওই তিনজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে র্যাব-১৫-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
ওই তিনজন হলেন কক্সবাজারে কর্মরত এপিবিএন-১৬-এর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও আবদুল্লাহ। তারা তিনজনই গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে। আদালতের আদেশে ওই তিনজনকে র্যাব নিয়ে যায়।
এর আগে এপিবিএনের এ তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর গত মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত।
এর মধ্যে মঙ্গলবার এপিবিএন-১৬-এর কমান্ডিং অফিসার (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম ওই তিন এপিবিএন সদস্যকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানান।
এদিকে কক্সবাজারে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে পঞ্চম দিনের মতো সিনহা হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতের রিমান্ড চলছে।