দেলোয়ার হোসেন জাকির
কুমিল্লা গোমতী নদীর দুই পাড়ে অবৈধভাবে মাটি-বালু উত্তোলন বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন গোমতী নদীর অবৈধ মাটি-বালু উত্তোলন বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর এর তত্তাবধানে কুমিল্লা গোমতী নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে মোবাইল কোর্ট করে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনকারি ড্রেজার, নৌকা ও বালু উত্তোলনের ৩ টি ভ্যাকু মেশিন, ৫ টি নৌকা, ১০ হাজার ফুটটপাইপ ও ১৬টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয় এবং সরঞ্জার জব্দ করা হয়। ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে স্বরণকালে বৃহৎ মোবাইল কোর্ট করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
গোমতী নদীর দুই পাড় থেকে অবৈধভাবে কৃষি জমি কেটে মাটি ও বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এ নিয়ে স্থানিয় মানুষ প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করে।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিবিরবাজার কটকবাজার এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামকে নিয়ে গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের স্থান পরিদর্শন করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি গোমতী নদীর দুই পাড়ের সকল স্থান থেকে মাটি ও বালু কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে মাটি ও বালু উত্তোলন তাৎক্ষনিক বন্ধ করে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর। এ সময় বেশ কয়েকটি ড্রেজারসহ নৌকা পলিয়ে পায়। ওই নির্দেশনার পর গোমতী নদী, বাঁধ, সড়ক, কৃষি জমি ও পরিবেশ রক্ষায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ব্যাপক আকারে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা গোমতী নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধ করে।
মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসিল্যান্ড ফয়সাল আহাম্মেদ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সাইদ, মাজহারুল ইসলাম, জনি রায়, এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ও গোলাম মোস্তফা। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর জানান, গোমতী নদী, বাঁধ, সড়ক, কৃষি জমি ও পরিবেশ রক্ষায় জেলা কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।