কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। আজ সোমবার (০৭ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের বেশ কয়েকটি দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কুমিল্লার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. রেজাউল কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল জাবের বিন জব্বারসহ বিজিবি’র কর্মকর্তাগণ, কসবা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল খায়ের স্বপন, কসবা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসবকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি। শিল্পীরা প্রতিমায় রং তুলির শেষ আচড় দিচ্ছেন। রং তুলির শেষ আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবী দুর্গার মুখ। অনেক মন্দিরেই প্রতিমা নির্মাণ ও রঙের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এবছর কসবা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় ৪১টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
কসবা উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী গোবিন্দ জিউর মন্দিরে পরিদর্শনে গিয়ে বিজিবি’র কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. রেজাউল কবির বলেন, কুমিল্লা সেক্টরের অধিনে ১২২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বি সম্প্রদায়ের লোকজন নির্বিঘ্নে যাতে পূজা উদযাপন করতে পারে এ জন্য বিজিবি সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে। তিনি যেকোন সমস্যা বিজিবিকে অবহিত করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, প্রত্যকটি পূজামন্ডপ সিসি টিভির আওতায় আনার পরামর্শ দেন।
কসবা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানিক চন্দ্র সাহা জানান, পূজা উদযাপনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেছেন। কসবায় এ বছর ৪১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এর তত্ত্বাবধানে একটি কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।