কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ ২জনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মুক্তিযোদ্ধা কুটি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মহসিন মুলক (৭৩) ও হাবিবুর রহমান (৬৫)। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মহসনি মুলকের অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধা মহসিন মুলকের ছোট ভাই মো. সোহরাওয়ার্দী বাদি হয়ে জাজিয়ারা গ্রামের মো. শামসু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৪২ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ঈদগাহের একটি কমিটি সম্প্রতি সময়ে অনুমোদন দিয়েছেন ওয়াকফ স্টেট। এ কমিটির সভাপতি হয়েছেন আহত মুক্তিযোদ্ধার ভাই মো. সোহরাওয়ার্দী এবং সাধারণ সম্পাদক মো. তফাজ্জল হোসেন। পূর্ব থেকেই স্থানীয়ভাবে গঠন করাছিল আরও একটি কমিটি। ওই কমিটির সভাপতি অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মোল্লা। এ নিয়ে দুই কমিটির লোকজনদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
এদিকে গত শুক্রবার বিকালে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান ওই মসজিদ কমিটির দ্ব›দ্ব নিরসনে ঘটনাস্থলে যান। তিনি উভয় কমিটির সাথে কথা বলেন, সেখানে তিনি ওয়াকফ স্টেট এর অনুমোদন পাওয়া কমিটিসহ শান্তি বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশনা দেন। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরপরই পূর্বের কমিটির লোকজন ওয়াকফ স্টেট এর কমিটির লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান ও কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহত মুক্তিযোদ্ধাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা গ্রামের মসজিদ কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দ্ব›দ্ব শেষ করে এক সাথে মিলে মিশে চলার জন্য নির্দেশনা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরপরই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গতকাল সোমবার দুপুরে বলেন, মসজিদ কমিটির দ্বন্দ্বে এক মক্তিযোদ্ধাসহ ২জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।