কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত বুধবার (৮ মার্চ) রাত ৯টায় ফারুক হত্যা মামলার এক সাক্ষীকে পিটিয়ে আহত করেছে আসামীরা। ঘটনাটি ঘটেছে কসবা পৌর এলাকা শাহপুর গ্রামে। স্থানীয় লোকজন আহত আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহতের চাচা মো. শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫) কে প্রধান আসামি করে ওইদিন রাতেই ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৮ র্মাচ) রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। আসামীরা রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটালে আজারুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার চিৎকারে পথচারী ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। আসামীরা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ১১ টায় ফারুক একটি নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোহেল গংরা ফারুককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলায় খুন হওয়া ফারুক মিয়ার পুত্র আজারুল ইসলাম প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।