কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ধর্ষণের সাজার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন, এই জন্য আইন সংশোধন করে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন করেছেন। জনগণের যুক্তিযুক্ত দাবিকে শেখ হাসিনার সরকার মেনে নেয়। এই সকল দাবি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইলে এদেশের জনগণ তা করতে দেবে না। জনগণ এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে। আজ শনিবার দুপুরে (১৭ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় নবনির্মিত নয়নপুর কোনাঘাটা ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেছেন, স্থানীয় সাংসদ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আর্থিক সহায়তায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর কোনাঘাটায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া ৫৩ শতাংশ জমি দান করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, মা ও শিশুর সেবা সঠিকভাবে দেওয়া না হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভাল হবে না। কারন শিশুরা হল আগামীর ভবিষ্যৎ। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দালালদের দৌরাত্বকে প্রশ্রয় না দিয়ে রোগীদের সঠিক সেবা প্রদান করবেন। মন্ত্রী আরো বলেন, কোভিট-১৯ করোনায় বিশ্বব্যাপী মহামারির মধ্যেও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার অনেক কম এবং মানুষের কষ্টও অনেক কম হয়েছে। শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই একটি কার্যকর টিকা আবিস্কার না হওয়া পর্যন্ত তিনি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহŸান জানান।
কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. এমরান উদ্দিন, কসবা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম আহŸায়ক এম জি হাক্কানী, কসবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আফজাল হোসেন, বায়েক ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়াসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।