কসবা পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত

অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী বাদ পড়েছেন, হতাশায় অভিভাবকরা

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বরর) দুপুরে স্বনামধন্য কসবা
পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ভর্তি প্রক্রিয়া লটারির মাধ্যমে
অনুষ্ঠিত হয়। এবার ভর্তি পরীক্ষা না হওয়ায় অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী
লটারিতে বাদ পড়েছেন। এতে হতাশায় পড়েছেন ওইসব ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা।
লটারী অনুষ্ঠানে পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কসবা
উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মা. হামিদুল হক মাষ্টার এর
সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
মাসুদ উল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য
মোশারফ হোসেন ইকবাল, কসবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাফর
আহাম্মদ, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক আবু ইউছুফ ভূইয়া, কসবা পৌরসভার কাউন্সিলর আবু সাঈদ প্রমুখ। এসময়
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ,
সাংবাদিক ও মাণ্যগন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, করোনা মহামারীর কারনে এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার বদলে
লটারির মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ
প্রেক্ষিতে কসবা পৌর উচ্চ বিদ্যালয় মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) লটারির
মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে। লটারির মাধ্যমে একশত ১০ জন
ছাত্র ও একশত জন ছাত্রী নির্বাচিত হয়। অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয় ৩০ জন
ছাত্র ও ২০ ছাত্রী। এবার ভর্তির জন্য আবেদন করেন চারশত ৪৭জন
ছাত্র-ছাত্রী। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি স্বচ্ছ জার থেকে লটারি কুপন তোলেন
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাফর আহাম্মদ, বিদ্যালয় ম্যানেজিং
কমিটির সভাপতি মো. হামিদুল হক মাষ্টার ও জেলা পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেন
ইকবাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু ইউছুফ
ভূইয়া।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা না থাকায় হতাশা ব্যক্ত করে কয়েকজন অভিভাবক জানান,
তাদের মেধাবী সন্তানরা এ প্রক্রিয়ায় বাদ গেছে। পক্ষান্তরে তাদের
সন্তানদের স্কুলের অপেক্ষাকৃত কম মেধাসম্পন্ন বাচ্চারা এতে টিকে গেছে। এর
ফলে ওরা নিজেদের বঞ্চিত মনে করছেন। তাদের সন্তানদের ৫ বছরের পরিশ্রম বৃথা
যেতে বসেছে। কসবা পৌর এলাকা শীতলপাড়ার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তার মেধাবী
মেয়ের নাম লটারীতে না আসায় সে অনিশ্চয়তায় পড়েছে। চকচন্দ্রপুর গ্রামের
মেহেরীন শোভা জানান, তার ছেলে কাশে প্রথম ছিল অথচ লটারিতে তার নাম নেই।
সে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত মেধাবী যাচাই এর আবেদন জানান। তানাহলে
অনেক মেধাবী ছাত্র হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়তে পারে। তাদের সম্ভাবনাময় অপার
ভবিষ্যত নষ্ট হতে পারে।

Post Under