কুবিতে শোক দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক; তদন্ত কমিটি গঠন

কাতিব হাসান মুরাদ, কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এক ভার্চুয়াল সভার ব্যানারে ‘উদযাপন’ শব্দটি ব্যবহারের পেছনে দুরভিসন্ধি কিংবা গাফিলতি ছিলো কিনা খতিয়ে দেখার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৭আগস্ট) কুবি রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে আছেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং সদস্য হিসেবে আছেন রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এ. কে. এম রায়হান উদ্দিন।

জানা যায়, ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে আগামী ২৯ আগস্ট একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে যার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ দিপু মনি।

বুধবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর ভার্চুয়াল সভার ব্যানারটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে।

এরপরই সচেতন মহলে ‘উদযাপন’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

তদন্ত কমিটি গঠন বিষয়ে কুবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘জাতির পিতার শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আমরা যেমন ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করতে চেয়েছিলাম তাতে এটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে৷ আমরা কোনো অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চাইনা এবং জাতির পিতার প্রতি অবমাননা বরদাস্ত করি না। এখানে কমিটির (শোক দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিটি) কোনো গাফিলতি ছিলো কিনা এটা জানার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি দিবসটি পালনে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কুবি রেজিস্ট্রার বলেন, ‘ঐ কমিটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা এক সপ্তাহের ভেতর জানাবে কেন এটা হলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমরা স্টেপ নিয়েছি। আমরা অবশ্যই জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

Post Under