নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা:
কুমিল্লায় দখল করে নেয়া পৈত্রিক বসতভিটা ফিরে পেতে এবং সাবেক আইনমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে স্থিত করে রাখা মামলা পুনরায় চালুর মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী এক ব্যবসায়ী। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মালাপাড়া উত্তর শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল মতিন ভূইয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন ভূইয়া। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিল্লাল হোসেন ভূইয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতিবেশী আবদুস সালাম ভূইয়া ও তার ছেলে চট্টগ্রাম জজ কোর্টের পেশকার জসীম উদ্দিন ভূইয়া অভিযোগকারী বিল্লাল হোসেনের পৈত্রিক বসতভিটায় জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করেন। এ ঘটনায় তিনি ও তার বাবা কুমিল্লা বুড়িচং সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় বিচারক ৭ দিনের কারন দর্শানো সহ স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেন। সেই আদেশ অমান্য করে অভিযুক্তরা বাড়ি নির্মাণ অব্যাহত রাখলে একই বছরে বিবিধ ভায়োলেশন মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ভায়োলেশন মামলাটি আদালত খারিজ করে দিলে তিনি ২০২১ সালে জেলা জজ আদালতে মিস আপীল মামলা দায়ের করেন। যা প্রশাসনিক আদেশ বদলী মূলে অতিরিক্ত জেলা জজ ২য় আদালতে চলমান আছে।
এই মামলা চলমান অবস্থায় কুমিল্লার বুড়িচং সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বেদল হওয়া জায়গা খাস দখলের জন্য ১৪২/২০ ইং নম্বর মামলা পুনরায় দায়ের করেন। ওই দখল উদ্ধারের মামলাটি বিচারক গত দুই বছর ধরে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়ে স্থিত করে রেখেছেন। যার কারনে বেদখল ভূমি উদ্ধার ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অভিযোগকারী।
অভিযোগকারী ঠিকাদার বিল্লাল হোসেন আরো বলেন, জোর করে আমার এক শতক বসতভিটা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে তারা। কুমিল্লার বুড়িচং সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক সাবেক আইনমন্ত্রী ও পেশকার জসীম উদ্দিনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১৪২/২০ ইং মামলাটি স্টে অর্ডার করে আমাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
বিল্লাল হোসেনের আইনজীবী মো: জসিম উদ্দিন বলেন, মামলাটি বেআইনীভাবে দুই বছরের জন্য (স্টে অর্ডার) স্থিত করে রেখেছেন। যার কারনে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের পেশকার জসীম উদ্দিন ভূইয়া বলেন, অভিযোগকারী বিল্রাল হোসেন আমার চাচাতো ভাই। আমার বাপ চাচারা পাঁচ ভাই। সকলের স্বাক্ষর যুক্ত রেজিস্টার্ড বন্টননামা অনুযায়ি সবাই যার যার জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করেছে। আমরা বিল্লাল সাহেবের জায়গা দখল করিনি। তিনি বন্টননামা না মেনে একর পর এক মামলা দিচ্ছেন। আদালত আইন অনুযায়ি রায় দিয়েছে। সেটা আদালতের বিষয়। আমি কোন মন্ত্রীকে দিয়ে বা নিজে প্রভাব বিস্তার করিনি।