এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা:
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বদ্যৈুতিক তার চুরির হিড়িক পড়েছে। এসব চুরির কারনে বিপাকে পরছেন বাড়ির মালিকগণ। রাতের আধারে বাসা বাড়ির সার্ভিস তারও কেটে নিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। তাছাড়া সড়কের পাশে এবং বিভিন্ন এলাকার অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রেহায় পাচ্ছেনা চক্রটির কাছ থেকে। কিশোর ও যুবকদের কয়েকটি গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে এসব অপকর্ম করছে বলে জানা গেছে। তাদের চুরির তার কিনে নিচ্ছেন নগরীর কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী। ওই অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে এসব চুরি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভুক্তভোগীরা।
গত এক ১৫দিনে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় ২০ থেকে ৩০টি বাসা ও দোকানের ওয়্যারিং ও সার্ভিস তার নিয়ে গেছে চক্রটি। এদিকে আগের তুলনায় তারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এই দুর্মূল্যের বাজারে বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগ্রুস্ত পরিবারগুলো। ব্যবসায়ী সোহাগ শেখ জানান তাঁর বাসার তার চুরি করে নিয়েগেছে একটি চক্র এতে করে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেলুন মালিক আলম মিয়া জানান, তার প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস তার কেটে নিয়ে গেছে।
তাছাড়া, রেইসকোর্স এলাকার সান মেডিকেল সার্ভিস হাসপাতালের দামী সার্ভিস তার, একই এলাকার বিএনপি নেতা আবু বকর শিল্পীর বাসার তার, আনোয়ার হোসেনের বাসার তার সহ অনেকের বাসারে তার চুরি হয়েছে অল্প কদিনে। তবে এলাকাবাসী হাতেনাতে আরিফ নামের এক চোরকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। এলাকাবাসীর হাতে আটক ও পুলিশে দেওয়ার আগে ওই চোরের বক্তব্য মতে তাদের চারজনের একটি চক্র রেইসেকোর্স, বাগিচাগাঁও এলাকায় তার চুরি করে যাচ্ছেন। গ্রুপের দলনেতা সিয়াম, অন্য সদস্যরা হলেন বাধন ও মধু। তাদের সকলের বাসা শাসনগাছা রেললাইন সংলগ্ন এলাকায়। চুরির এসব তার তারা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি বস্তির শেলী নামের নারীর কাছে বিক্রি করেন। নগরীর অন্যান্য এলাকার চুরি যাওয়া মালামালও ওই শেলী ও আরেকজন নারী কিনেন বলে জানিয়েছে চক্রটি। চুরির সময় রাতে সিসি ক্যামেরায় দেখে আরিফকে আটক করে এলাকার মানুষ। পরে তাকে উত্তমমধ্যম দিয়ে তথ্য নিয়ে কোতয়ালী থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কুমিল্লা নগরীর সিনিয়র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: আবদুল লতিফ জানান, তার প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস তার চুরি করার জন্য কেটে ফেলে, কিন্ত জেনারেটর চালু হয়ে যাওয়াতে আর নিতে পারেনি। প্রায় অনেক বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছি। আবু বকর শিল্পী জানান, আমার বাসার প্রায় ১০ হাজার টাকার তার চুরি করে নিয়ে যায়। আমার বাসায় পাশেই সোহেল নামের এক ব্যক্তির তার নিয়ে যায়। একজন চোর ধরা খাওয়ার পর তার তথ্যমতে আমি শেলী নামের মহিলার বাড়িতে গিয়ে তার কাছে থাকা তার উদ্ধার করে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস জানান, ওসি ফিরোজ স্যার বদলী হয়েছেন। তিনি বিষয়টি ভালো বলতে পারতেন। তবে আমি এখনো এমন কোন অভিযোগ পাইনি।