গ্রেটার কুমিল্লা:
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে প্রাইভেটকারে এক কোটি ৬০ লাখ পেয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক তিন জন হলেন অমল কর্মকার, অন্তুল কর্মকার ও সুকদেব কর্মকার। তারা সবাই চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
তবে টাকার উৎস, আটক তিন জন টাকা নিয়ে কী করতে যাচ্ছিলেন, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি এখনও কিছু বলছে না। পরে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসবে বলে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
পুলিশ জানায়, বুধবার গভীর রাতে বলদাখাল-চাঁদপুর সড়কের গোয়ালমারী এলাকায় তল্লাশি চৌকিতে থামানো হয় প্রাইভেট কারটি। তখন তল্লাশির সময় পাওয়া যায় টাকাগুলো।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, রাতে অনিরাপদ অবস্থায় লুকিয়ে টাকা বহন করায় পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার তিন জনকে কুমিল্লার আদালতে পাঠানোর কথা জানান দাউদকান্দি থানার ওসি।
জানতে চাইলে দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী বিস্তারিত তথ্য জানাতে চাননি। তিনি বলেন, ‘স্যারের (পুলিশ সুপার) কনসার্ন ছাড়া তো সব কিছু শেয়ার করতে পারি না।’
‘আমরা তদন্ত করছি তারা কী কারণে টাকাগুলো বহন করছিল, কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল। এই ব্যাপারে জানার পরে প্রেস ব্রিফ করে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাব।’
এজাহারে যা বলা হয়েছে
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার রাত ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রাইভেটকার তল্লাশি করে দুটি ব্যাগে টাকাগুলো পাওয়া যায়।
গাড়িতে থাকা তমাল কর্মকার, অন্তু কর্মকার ও সেলিম জানান, তারা এই টাকার মালিক না, তারা ঢাকা থেকে টাকা এনেছেন।
থানায় জিজ্ঞাসাবাদে তমাল কর্মকার জানান, বুধবার ঢাকার বায়তুল মোকারম মসজিদের সামনে ফুটওভারবিজ্রে এক লোক তাদেরকে ব্যাগ দুটি দেন সুখদেব কর্মকার নামে একজনকে পৌঁছে দিতে।
তিন জনকে আটকের খবর পেয়ে থানায় আসেন সুখদেব। তিনি নিজেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে জানান, এই টাকা তার চাচা খোকন কর্মকার ও মেঘনাথ কর্মকারের।
সুখদেবের দাবি, এগুলো ২২০ ভরি স্বর্ণ বিক্রির টাকা। কিন্ত বিক্রির কোনো রশিদ ছিল না। যে ব্যক্তি তাদেরকে টাকা দিয়েছেন, তার নামও জানাতে পারেননি তিনি।
এজাহারে বলা হয়, এই টাকা বৈধ উপায়ে অর্জিত কি না, তার কোন প্রমাণ তারা দিতে পারেননি। এ কারণে তাদেরকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।