কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়

এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল বিশাল জয় পেয়েছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ পনেরটি পদের মধ্যে ১১টি পদে সাদা প্যানেল জয় পেয়েছে। বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল পেয়েছে চারটি পদ।
আওয়ামীলীগ সমর্থিতদের ঐক্যবদ্ধতার কারনেই এই বিশাল অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজীবী সিমিতির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। গত বছরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দুইটি প্যানেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দলটির ভরাডুবি হয়েছিল। আইনজীবী সমিতির কার্যক্রমের কর্তৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয় দলটির নেতাকর্মীরা। গতবছরের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছর ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করায় ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে আওয়ামীলীগ পরিবার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মো: সহিদ উল্লাহ। এসময় আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মো: শরীফুল ইসলাম সহ কার্যকরী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং দুই প্যানেল সর্মিত সিনিয়র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফলাফলে সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের মো: আহসান উল্লাহ খন্দকার ৬২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি জামায়াত সমর্থিত তারেক আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৪৬৭ ভোট। সহ সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের মো: আব্দুল মান্নাণ মজুমদার ৫৬২ ভোট ও মো: নুরুল ইসলাম ৫৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের মো: ওয়াহিদুর রহমান সরকার ৪৩৫ ভোট এবং মো: ইায়াকুব আলী ৪৫৩ ভোট পেয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের মো: আবু তাহের ৫৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি জামায়াত সমর্থিত খন্দকার মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫১৪ ভোট তাছাড়া একই পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ইসলাম ইবনে শেখ পেয়েছেন ৪৪ ভোট।
এজিএস পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলেরশাহজাহান সিরাজ ৫৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের মো: ইয়াকুব আলী চৌধুরী পেয়েছেন ৫০৯ ভোট। ট্রেজারার পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের মো: আমির হোসেন খান ৬৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি জামায়াত সমর্থিত মো: আবদুল বাতেন মজুমদার পেয়েছেন ৪৪৯ ভোট।
লাইব্রেরি সেক্রেটারি পদে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের লোকমান আহম্মেদ ৫৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাদা প্যানেলের সঞ্জয় কুমার সরকার পেয়েছেন ৫১২ ভোট। এনরোলমেন্ট সেক্রেটারি পদে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের মো: আবদুস সবুর ৬২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাদা প্যানেলের সৈয়দ শহিদুল আহসান টিপু পেয়েছেন ৪৪৮ ভোট। আইটি সম্পাদক পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের এ এমএম মঈন ৬৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের মোহাম্মদ শাহজাহান ভূইয়া পেয়েছেন ৪৫৩ ভোট। রিক্রেশান সেক্রেটারি পদে সর্বোচ্চ ৭২৫ ভোট পেয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের শাহাবুদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের মো: কাজী আবদুল কাইয়ুম মিন্টু পেয়েছেন ৩৪৬ ভোট।
সদস্য পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের আবদুল হান্নান লিটন ৬২৫ ভোট, ওমর খালেদ ৬১৬ ভোট, ফাহমিদা রহমান ৫৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ফাহমিদা আক্তার ৫৫৬ ভোট, মো: নুরুল ইসলাম ৫৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে দুই প্যানেলের মোট ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত। চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছেন বিএনপি জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল।

এদিকে ফলাফল ঘোষণার পর আওয়ামীলীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও মালা পড়িয়ে অভিনন্দন জানান সাধারণ আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে আনন্দ শোভাযাত্রা করে নগর শিশু উদ্যান সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

 

 

 

Post Under