এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লার রাজপথ কাপানো আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা সফিকুল ইসলাম শিকদার ওরফে সফিক শিকদারের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী টাউনহল মাঠে বাদ আছর জানাযা সম্পন্ন হয়। বৃষ্টি উপেক্ষ করে জানাযায় অংশ নিতে মুসল্লীদের ঢল নামে। এসময় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপি, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি আমিন উন রশীদ ইয়াছিন সহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে নগরের বিষ্ণুপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম শিকদার দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস ফুট সমস্যা নিয়ে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ মে অপারেশনের মাধ্যমে তার বাঁ পায়ের অর্ধাংশ অপসারণ শেষে ঢাকার মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁকে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা স্লোগান মাস্টার, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, কুমিল্লা শহর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন সফিক শিকদার। তাঁর হাতে তৈরি হয়েছে আওয়ামীলীগের হাজার হাজার ত্যাগী কর্মী। দলের দুর্দিনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ২০১৩ সালের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে কুমিল্লার রাজপথে বেশ সক্রিয় ছিলেন তিনি। বিরোধী দলের সাথে রাজপথে যুদ্ধ করেছেন বীরের মতো। ত্যাগী এই নেতার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নোতারা শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
এদিকে পোড়খাওয়া জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুতে কুমিল্লার সকল রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সফিক শিকদারের স্মৃতি রোমন্থন করে অনেকেই তাঁর সঠিক মূল্যায়ন না হওয়া নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। কুমিল্লায় আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনকেই এই অবমূল্যায়ন বলে জানা গেছে।