কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ

এমদাদুল হক সোহাগ
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুপক্ষের মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ ও দুইজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৯ মার্চ) মুন্সি এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ একজন ওই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন আরেকজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পায়ে গুলি খেয়েছেন। অন্যদিকে, ভোট-গ্রহণ শুরুর পর সকালেই কুমিল্লা হাইস্কুল কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
উপ নির্বাচনে সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট-গ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এই উপনির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এবার দলীয় কোনো প্রতীক না থাকায় সরকার দলীয় দুইজন এবং বিএনপির বহিষ্কৃত দুই নেতা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের মেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বাস প্রতীকে, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম হাতী প্রতীকে, বিএনপির আজীবন বহিষ্কৃত নেতা, সাবেক দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এবং বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এই সিটিতে ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী ১ লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দুইজন।

Post Under