এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠুর প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকেরা। বুধবার বিকলে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স রেলওভারপাসের গোড়া থেকে কয়েকশ নেতাকর্মী মিছিল শোডাউন ও প্রচারপত্র বিলি শুরু করেন। পদযাত্রা করে পুলিশ লাইন-ঝাউতলা, বাদুরতলা- কান্দিরপাড়-মনোহরপুর-রাজগঞ্জ-চকবাজার পর্যন্ত ওই প্রচারণা ও প্রচারপত্র বিলি করা হয়।
আনিছুর রহমান মিঠু আশির দশকে যার রাজনৈতিক পথচলা শুরু। কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া কলেজের সবুজ চত্বর ও কুমিল্লার রাজপথ থেকে বেড়ে উঠা বলিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সদস্য সচিব ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক। যিনি এক এগারো সময়ে দলের দুর্দিনে দেশে ও আমেরকিায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আস্থা অর্জন করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে আমেরিকার রাজপথ যার স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়েছিল।
পেশাগত দিক দিয়ে আনিসুর রহমান মিঠু একজন আইনজীবী। কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। ছিলেন, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক স্পেশাল পিপি। কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণেও আওয়ামী রাজনীতে তাঁর সক্রিয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আইন পেশাতেও দেখিয়েছেন চমক। বিভিন্ন সভা সেমিনারে ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁর মনোমুগ্ধকর গঠনমূলক বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন আবাল বৃদ্ধা বনিতা।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাছাড়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়াতে তিনি নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করেননি।
এদিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। নতুন নির্বাচন কমিশনও গঠিত হয়েছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে প্রচারপত্র বিলি করেছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। এখন দুই পৃষ্ঠার প্রায় এক লাখ প্রচারপত্র নতুন করে বিলি শুরু করেছেন তাঁর নেতাকর্মীরা।
প্রচারপত্রে নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনের অঙ্গীকার করেছেন তিনি তাছাড়া নগরবাসীর নিরাপত্তা ও উন্নয়নে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পাকা ও উন্নতমানের ডাস্টবিন তৈরি, নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার, রাস্তা প্রশস্তকরণ, মসজিদ নির্মাণস ও সংস্কার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মসৃদ্ধ করা, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা, স্কুল ও হাসপাতাল নির্মান, টাউনহল সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অপরদিকে কান্দিরপাড়ের অবৈধ সিটি মার্কেট উচ্ছেদের অঙ্গীকার করেছেন।
লিফলেট বিতরণ ও শোডউনের নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী জিয়াউল হক মুন্না, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি পারভেজ হানিফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, কুমিল্লা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মিয়া, কোতয়ালী থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন রেজভী, রবিউল হাসান রবি, হাসান মজুমদার, মঈনুদ্দিন মামুন, মাঈনুল ইসলাম মামুন।
মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা হেলাল আহাম্মেদ , রাজু আহাম্মেদ, কামরুল ইসলাম কাম্বু, আশিকুর রহমান পারভেজ, বাপ্পি সাহা, জাহাঙ্গীর আলম, সুব্রত চক্রবর্তী,হোসেন পাটওয়ারী বাবু, সুমন সাহা,মাসুদুল ইসলাম সোহেল, সুমন দেবনাথ, মোঃ জুয়েল, মোঃরাসেল, হাসান, রিয়াজ, রাতুল, আকাশ।
মহানগর ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান সৈকত, মিনহাজ হোসেন তুরাগ, কুমিল্লা বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা অর্নব সিংহ রায়, আফতাব খান শিমুল,বায়জিদ বোস্তামি, দিপ্ত কুমার দাস, নাঈম ভূইয়া, অন্তর খন্দকার, বাদশা ফাহাদ, রবিউল হাসান রবিন, মেহেদী হাসান অনয় প্রমূখ।
এডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠু বলেন, আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দিবে। সুযোগ পেলে আধুনিক সিটি কর্পোরেশন গড়ার জন্য আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করবো।