এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলা সাহিত্যে অনেকটা নতুন মাত্রা সংযোজন করেছেন সৃজনশীল প্রচারবিমুখ লেখক সরদার মো. নাজমুল কবির ইকবাল। যিনি ‘ইসমোনাক’ ছদ্মনামে প্রকাশ করেছেন তিন-তিনটে বই। সবচে’ আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে তাঁর রচিত তিনটি ব্যবহার করা হয়েছে ২৭ হাজার শব্দ, যাদের প্রত্যেকটি ‘ক’ আদ্যাক্ষর দিয়ে। গবেষণালব্দ এই বই রচনা করতে গিয়ে তিনি সয়েছেন বহু যাতনা। শেষতক তাঁকে আর্থিক সহয়াতা প্রদান ও তার লিখিত বই প্রচারের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, যে সময় যুব সমাজ মাদকে জড়িয়ে যাচ্ছে, স্বার্থ ছাড়া মানুষ কাজ করছে না, সে সময়ে নাজমুল কবির নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সাহিত্য সাধনায়। মাতৃভাষার জন্য তার অবদানের জন্য ভূয়শী প্রশংসা করে জেলা প্রশাসক বলেন, তার রচিত বইগুলো মুদ্রন করে পাঠকদের হাতে তুলে দেয়া হবে। পরে তিনি এই লেখকের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন এবং জেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে বইটি প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। টানা দুই যুগের সাহিত্য সাধনায় সরদার মো. নাজমুল কবির ইকবালের সংসারহারা হবার পরও জেলা প্রশাসক প্রদত্ত সম্মানে অভিভূত হয়েছেন বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন।
আরো পড়ুনঃ
অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, আবৃত্তি শিল্পী ও সাংবাদিক মনির হোসেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচ.এম. সিরাজ, সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সরদার মো. নাজমুল কবির ইকবাল বিগত ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে ‘কেষ্ট কবির কষ্টগুলো’, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ‘কেষ্ট কবি কনফারেন্স’ এবং ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘কেষ্ট কবি’ নামে প্রায় ২৭ হাজার শব্দের তিনটি বই রচনা করেন। রচিত বইগুলোর প্রতিটি শব্দের আদ্যক্ষর ‘ক’ বর্ণ দিয়ে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজড়ে এলে তিনি এই সৃজনশীল লেখকের পাশে দাঁড়ান।