খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে আইনগত বাঁধা নেই-কসবায় আইনমন্ত্রী

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে আইনগত কোন বাঁধা নেই। ঢাকায় বাসা থেকে চিকিৎসা নিবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এ দুটি শর্তে সরকার কারাদন্ড স্থগিত রেখে তাকে জামিন দিয়েছেন। সেই দুটি শর্তের মধ্যে রাজনীতি করতে পারবেন না, সেটি নেই। এ কারনে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন। শনিবার (২৫ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের জমশেরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শত বছর উপযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলি বলেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দুটি দুর্নীতির মামলার আসামী ছিলেন। একটি মামলায় বিচারিক আদালত পাঁচ বছর সাজা দিয়েছে। একই মামলায় উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। অন্য একটি মামলায় পাঁচ বছর কারাদন্ড হয়েছে। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি বলেছিলাম বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামিম ইস্কান্দরের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুটি শর্তে মানবিক কারনে জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে রাজনীতি করতে পারবেন না এরকম কোন শর্ত ছিল না।
জমশের উচ্চবিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র শত বছর উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. নাছিরুল আলম এর সভাপতিত্বে এবং প্রাক্তন ছাত্র ভিকারুননেছা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক মো. বদিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারোয়ার, বিদ্যালয়ের ৭৬ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শাহআলম, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মীর্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সফিকুল ইসলাম, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আমজাদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, একটি বিদ্যালয়ের একশ বছর বার বার আসে না। কথা দিয়ে গাঁথা হয়েছে একশটি বছর। আজকের দিনটি স্বরণীয় এবং গর্বের। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর শিক্ষা ব্যাবস্থাকে উন্নতি করতে এ রকম প্রতিষ্ঠানই চেয়েছিলেন। বিদ্যালয়টি থেকে হাজার হাজার কৃতি শিক্ষার্থী বের হয়েছে। যারা আজকে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদেরকে অনুসরন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী ট্যানেলসহ বহু প্রকল্প তেরী করেছেন এগুলি ধরে রাখতে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন। তারাই হবে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক।
বিদ্যালয়টির ১০০ বছর উপলক্ষে বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থীর নিবন্ধন করা হয়েছে। শত বছর উপলক্ষে দিনব্যাপী চলে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের উৎসব আর আনন্দ।
বিকালে আইনমন্ত্রী স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। আলোচনা সভা শেষে আইনমন্ত্রী প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সেরা খামারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

Post Under