এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
স্ত্রী-সন্তান থাকতেও প্রতিবেশী নারীর পরকীয়ায় লিপ্ত হন দানিছ। বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে করেন বেদম মারধর। হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু ঘটে তিন সন্তানের জননী হাছিনা বেগমের। এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মিলেছে। শেষতক সাংবাদিক সম্মেলন করে কবর থেকে লাশ উত্তোলনসহ পুনরায় তদন্তের দাবী জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে জেলার নবীনগর উপজেলা এলাকায় স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দিয়ে খুনের শিকার হওয়া গৃহবধূ হাছিনা বেগমের পরিবার
পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এবং লাশ পুনরায় উত্তোলন করে তদন্তের দাবী জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে নিহতের বোন হোশপিয়ারা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার স্বজন শেফালি বেগম।
আরো পড়ুনঃ
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বিগত ১০ বছর আগে নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ওয়ারুক গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে দানিছ মিয়ার সাথে একই ইউনিয়নের চড়িলাম গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের মেয়ে হাছিনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দানিছ হাছিনাকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মারধর করতো। এছাড়া দানিছ প্রতিবেশী এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এতে বাঁধা দেয়ায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি দানিছ মিয়া ক্ষুব্দ হয়ে হাছিনাকে বেধরক মারধর করে। পরে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হাছিনাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার হত্যা মামলা করতে চাইলেও পুলিশ সুকৌশলে যৌতুক আইনে মামলা গ্রহণ করেন। পরে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন। এ সময় তারা কবর থেকে হাছিনার লাশ উত্তোলন করে পুন: তদন্তের দাবী জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত গৃহবধূ হাছিনা বেগমের মা আম্বিয়া খাতুন, বোন হোশপিয়ারা বেগম, ভাই আরমান হোসেনসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।