এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সাত লাখ টাকা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বহুতল ভবনের গেইটে তালা দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ওই ভবনে বসবাসকারী ১০ টি পরিবার। অবশেষে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয় ওই ১০ পরিবারের অর্ধশত সদস্য। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইল মহল্লার। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার এবং ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের মৃত রহিস মিয়ার পুত্র রবিউল আউয়াল দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসী। জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে জায়গা কিনে বহুতল বিশিষ্ট ভবন (বাসা নং ৭৩৭/২) নির্মাণ করেন। ভবন নির্মাণকারী ঠিকাদার রনি শিকদার (৪০) কাজ সম্পাদন শেষে সকল দেনা পাওনা বুঝে নেয়ার পর রবিউলের পরিবার এবং অপরাপর ভাড়াটিয়া পরিবার ওই ভবনে বসবাস করতে থাকেন। পরবর্তীতে ঠিকাদার রনি বাড়তি আরো ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন। কিছুদিন পর রনির সহযোগী রাসেল মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে ৪/৫জন আরো ১৫ হাজার টাকা বুঝে নেয়। সব মিলিয়ে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বুঝে নিয়েছে মর্মে লিখিতও দেয়। কিছুদিন পরই অভিযুক্তরা আরো ৭ লাখ টাকা দিতে হবে বলে অন্যায়ভাবে দাবী করে। দাবীকৃত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তারা রবিউলকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে তারা ভবনটির গেইটে তালা লাগিয়ে ১০টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এহেন ঘটনায় ভবনের বাসিন্দারা বাসা থেকে বের হতে না পেরে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে সদর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভবনটির ১০টি ইউনিটের অন্তত অর্ধশত বাসিন্দাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রনি শিকদার, রাসেল মিয়া ও আবদুল্লাহ মিয়ার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় লিখত এজাহার দায়ের করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আবদুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাড়ি নির্মাণ করা নিয়ে মালিকপক্ষ এবং ঠিকাদারের মধ্যে লেনদেনকে কেন্দ্র করে এই বাদানুবাদ। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।