চক্ষু রোগের উন্নত চিকিৎসা এখন কসবার বিউটি ডায়াগনস্টিকে

গ্রেটার কুমিল্লা:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার সৈয়দ এ কে আজাদ কসবা উপজেলার বিউটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে রোগী দেখা শুরু করেছেন। প্রতি মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে এসে তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিউটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: ওয়াহিদ সরকার গ্রেটার কুমিল্লাকে জানান, সকাল নয়টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রোগী দেখছেন ওই চিকিৎসক । শুরুতেই রোগীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, অধ্যাপক ডাক্তার সৈয়দ এ কে আজাদ একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, চক্ষু রোগের উপর ডিও, এমএস এবং ইংল্যান্ড থেকে এফআইসিও ডিগ্রী অর্জন করা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ছাড়াও তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সাবেক বিভাগী প্রধান ছিলেন। সুনামধন্য এই চিকিৎসক অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে অত্যাধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে চক্ষু পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও প্রয়োজনবোধে চমশা দিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, অধ্যাপক ডাক্তার সৈয়দ এ কে আজাদ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জানঘর গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সন্তান। কসবা বিউটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার অন্যতম কারন হচ্ছে গ্রামের বাড়ির সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা।

ওয়াহিদ সরকার আরো বলেন, কসবা উপজেলাবাসী চক্ষু রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর জন্য বহু কষ্ট করে ও অর্থ ব্যয় করে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকায় যেতেন। এখন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা আমাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, শুধু চক্ষু রোগের চিকিৎসকই নয় আমাদের এখানে মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের কনসালন্ট্যান্ট ডা: কে. এম মুর্শেদ প্রতি শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। তাছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাক কান গলা বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার ডা. সাফায়েত বিন আজিজ প্রতি সোমবার সকাল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা এবং গাইনী চিকিৎসক ডা. কে. জে. কে শাহীনুর নিয়মিত রোগী দেখছেন।

Post Under