‘জিরো থেকে হিরো’ কুবির নারী শিক্ষার্থী

কাতিব হাসান মুরাদ, কুবি প্রতিনিধি:

করোনা মহামারীর পরিস্থিতিতে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে শিখেছে বাহারি রকমের চকলেট, আইসক্রিম ও কেক তৈরি।

নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ও নিজের অর্জিত জ্ঞান বিকশিত করার জন্য চালু করেছে অনলাইন ভিত্তিক কোর্স। তার এই প্রচেষ্টা নিজেকে গড়ে তুলেছে একজন সফল উদ্যোক্তা। গতবছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এই ৮ মাসে আয় করেছেন ১০ লক্ষ টাকা। বলছিলাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বন্যার কথা।

তিনি চকলেট, মিষ্টি, কেক, আইসক্রিম, চাইনিজসহ বিভিন্ন রকম রিবিয়ানি, ড্রিংক্স, কুকিজ বানানো শিখাচ্ছেন। এসব শিখতে তার সর্বমোট শিক্ষার্থী এখন প্রায় ১৫০০ জন।

নিজের উপার্জিত টাকা থেকে কিডনি রোগে আক্রান্ত তার বন্ধু অন্তর সাহার চিকিৎসার জন্য ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গাছ থেকে পড়ে আইসিও তে ভর্তি থাকা আরেক বন্ধু সাব্বির আহমেদের চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে পাশে থেকেছেন বন্যা। এছাড়াও, নিজ এলাকায় বিভিন্ন সময় আর্থিক সহযোগিতা চাইতে আসা অনেকের দিকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

সফলতার ব্যাপারে বন্যা বলেন, ‘করোনার লকডাউনে ঘরবন্দি থেকে অনলাইনে রান্নাবান্নার বিভিন্ন কিছু শিখি। তারপর গতবছরের অক্টোবরের দিকে অনলাইনে এসব বানানো শেখাতে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দেই। কিন্তু আমার পরিবারের কেউ সম্মতি দেয়নি। তাদের ধারণা ছিলো আমি অনলাইনে এটা পারবোনা বরং কোনো আইনি ঝামেলায় পড়তে পারি। তবুও আমার ছিল প্রবল ইচ্ছা।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরবর্তীতে আমার ক্লাস করার জন্যে যারা টাকা দিয়েছিলো সেখান থেকেই আমি উপরকরণসামগ্রী কিনে ফেললাম। অর্থাৎ সোজা কথায় বললে, ১ টাকাও ইনভেস্ট না করে বিজনেসের লাভ থেকে মূলধন বের করেছি। তারপর আমি “Treats For You” নামে একটা পেইজ খুলি এবং এখান থেকে ক্লাস পোস্ট দেওয়া সহ ক্লাসগুলো করানো হয়। গতবছর অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আমার আয় ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সত্যিই মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমার ব্যবসায় বরকত দান করেছেন।’

Post Under