এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জোড়া খুন মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের ধরছে না। উল্টো আসামীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন সাবেক বিজিবি সদস্য ইয়াছিন মিয়া ও তার ভায়রাভাই এনামুল হক খন্দকার হত্যা মামলার বাদীকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমনি অভিযোগ করেন জেলার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া গ্রামের নিহতের পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত খন্দকার এনামুল হকের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলা করা হয়। পরে সিআইডি ২৮জনকে আসামী করে তদন্ত প্রতিবেদন দিলে আদালত সকল আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর মধ্যে ১২জন আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন থাকলেও অপর ১৬জন আসামীকে এখনো গ্রেফতার করা হচ্ছে না। উপরন্তু বর্তমানে মামলাটি উঠিয়ে নিতে আসামী পক্ষের লোকজনেরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাছলিমা আক্তার বলেন, মামলার আসামী ও সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. হালিমের ভাই। হালিম দলীয় প্রভাব বিস্তার করার কারণে আসামীদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। ফলে আমরাও বিচার পাচ্ছি না। উল্টো আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আসামীদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে চলে এসেছি। আমি আমার স্বামী এবং আমার বোনের স্বামী হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার চাই।সংবাদ সম্মেলনে নিহত সাবেক বিজিবি সদস্য ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম ও তার সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ মার্চ রাতে নবীনগর উপজেলার জগন্নাথপুরে সাবেক বিজিবি সদস্য ইয়াছিন মিয়া ও তার ভায়রাভাই খন্দকার এনামুল হককে হত্যা করা হয়।