এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চৌদ্দ বছরের কিশোর রনি। পেশায় অটোরিকশা চালক।গত ছ’দিন আগে অটোরিকশা সমেত হন নিখোঁজ। কোথাও হদিস না মিলায় পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয় থানায় জিডি। এদিকে পুলিশ বালুচাপা দেয়া এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিহিত জ্যাকেট, জুতা ও কাপড় দেখে মরদেহটি রনির বলে শনাক্ত করলেন তার পিতা দুলাল মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর ছয়বাড়িয়া এলাকায় নির্মানাধীণ একটি প্রজেক্টের ভেতর থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় মর্গে।তবে মরদেহটি নিখোঁজ রনির কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া জানান, তার ছেলে রনি অটোরিকশাচালক। গত ছয় দিন ধরে রনি তার চালিত অটোরিকশাসহ নিখোঁজ রয়েছেন। কোথাও হদিস না পেয়ে এ বিষয়ে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয়বাড়িয়া এলাকায় নির্মাণাধীন একটি প্রজেক্টের ভেতর থেকে বালুচাপা দেয়া অবস্থায় উদ্ধারকৃত মরদেহের পরিহিত জ্যাকেট, জুতা ও কাপড় দেখে এটি তার ছেলে রনির (১৪) বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন। উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিশেষে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘উদ্ধারকৃত মরদেহটি জিডি করা সেই কিশোরের কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সনাক্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।