দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। রণতরী দুটি ইতিমধ্যে গন্তব্যের পথে রওনা হয়েছে।
চীনকে ‘চাপে’ ফেলতে ইউএসএস নিমিটস এবং ইউএসএস রোনাল্ড রেগন নামে ওই দুই রণতরী সামরিক মহড়া চালাবে বলে এই সময়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ভারতীয় এ সংবাদমাধ্যম জানায়, এই মুহূর্তে লুজন প্রণালি অতিক্রম করছে দুই মার্কিন রণতরী। এই প্রণালি তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের মাঝে এই প্রণালি অবস্থিত। এটি ফিলিপাইন সাগরকে দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের বুকে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেখানে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে তারা। সম্প্রতি সামরিক মহড়া করেছে চীনের লালফৌজ। এ ঘটনায় আমেরিকা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
তবে এবার শুধু প্রতিক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ না রেখে এবার পাল্টা মহড়ার জন্য জোড়া বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে আমেরিকা। চীনকে চাপে রাখতেই ট্রাম্প প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।
এই মহড়া প্রসঙ্গে অভিযানকারী দলের নেতা রিয়ার অ্যাডমিরাল জর্জ এম উইকঅফ একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এই অভিযানের পেছনে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমরা দায়বদ্ধ। আমরা আমাদের বন্ধু ও সহযোগীদের এই বার্তা দিতে চাই।
উল্লেখ্য, রিয়ার অ্যাডমিরাল জর্জ এই মহড়ার নেতৃত্বে থাকা ইউএসএস রোনাল্ড রেগানের কমান্ডার।
এই সময়ের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতি বছর দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে প্রায় ৩ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়। এই পথের ৯০ শতাংশ নিজের এলাকা বলে দাবি করছে চীন। গত দশক থেকে দক্ষিণ চীন সাগরে একের পর এক কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে চলেছে চীন। বহু দ্বীপে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে এমন পরিকাঠামো তৈরি করেছে তারা।