এমদাদুল হক সোহাগ:
মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন করা কুমিল্লা নগরীর চারটি ওয়ার্ড আজ রাত ৯টা থেকে খোলে দেওয়া হবে। তবে চারটি ওয়ার্ডের যেসকল বাড়িতে করোনা ভাইরাসের রোগী রয়েছে সেগুলো লকডাউন করা থাকবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সম্মলিতভাবে কাজ করবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জরুরী বৈঠকে এসব কথা জানান কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এসময় জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ মো: নুরুল ইসলাম সহ জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি বাহার বলেন, লকডাউন এড়িয়াতে যারা কষ্ট করে কাজ করেছেন পুলিশ বাহিনী, জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
তিনি আরো বলেন, লকডাউন কৃত এলাকার করোনার সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে করোনা রিপোর্টের জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সব পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো আসেনি। আগামি বৃহস্পতিবারে আবারো ডিসি অফিসে সভা অনুষ্ঠিত হবে। তখন নগরীর ৫ নং ও ১৮ নং ওয়ার্ড লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে। তাছাড়া, নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে আমরা এখনো চিন্তিত। কারন ওই ওয়ার্ডে যে পরিমান করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছে সেগুলো যদি বিদ্যমান থাকে তাহলেও ওয়ার্ডটি আবার লকডাউন করা হতে পারে। আমরা পরিস্থিতি আরো ছয়দিন পর্যবেক্ষণ করবো। আগামি বৃহস্পতিবারের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া, নগরীর শপিংমল দোকান-পাট সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সাত মানে সাতটা-ই, সোয়া সাতটা না। যদি কেউ দোকানের সার্টার খোলা রাখে তাহলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।
এমপি বাহার আরো বলেন, কুমিল্লা সহ সারা দেশে বাজার থেকে করোনা বেশি ছড়াচ্ছে। সেজন্য নগরবাসীকে ঘনঘন বাজারে না গিয়ে একসাথে অনেকদিনের বাজার করার আহবান জানান তিনি। তাছাড়া, সড়কের পাশে ফুটপাতে কেউ ভ্যানে বা অন্য কোন ব্যবসা করতে পারবেনা বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ক্ষেত্রে আগামিকাল থেকে মাইকিং করা হবে। তবে, শাকসবজি বা তরকারির ভ্যান এলাকা এলাকা ঘুরে তরকারি বিক্রি করতে পারবে।
এমপি বাহার বলেন, কুমিল্লার মানুষকে সুস্থ্য ও নিরাপদ রাখার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। সেজন্য কুমিল্লাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
উল্লখ্য, গত ১৯ জুন রাত ১২ টা থেকে নগরীর ৩ , ১০, ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়। আজ রাত ৯টায় লকডাউন শেষ হচ্ছে। লকডাউনকৃত ওয়ার্ড এলাকায় করোনার সংক্রমনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। লকডাউনের ফলে এসব এলাকায় সংক্রমন কমেছে। প্রকৃত চিত্র বুঝতে আরো কদিন অপেক্ষা করতে হবে। কারন করোনা টেস্টের ফলাফল সব পাওয়া যায়নি।