এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রবাসীর স্ত্রী খাদিজা। এক যুগের দাম্পত্য জীবনের এক সন্তানের জননী। একই এলাকার যুবকের সাথে জড়ায় পরকীয়া প্রেমে। স্বামীর কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায় প্রেমিকের কথামতো স্বামী রিমন কুপিয়ে করলেন রক্তাক্ত জখম। মুমূর্ষু অবস্থায় বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কাতরাচ্ছে রিমন।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের চাওড়া গ্রামে ঘটে এই পৈশাচিকতা। মুমূর্ষ রিমন মিয়া (৩৩) চাওড়া দৌলতবাড়ির মুহাম্মদ সাঈদ মিয়ার পুত্র। দীর্ঘ ১২ বছর ধরেই রিমন প্রবাসী। করোনার কারণে প্রবাসফেরতের পর আর যেতে পারেনি।
স্ত্রীর হামলায় গুরুতর আহত রিমনের পরিবার, এলাকাবাসী এবং থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার চাওড়া গ্রামের সাঈদ মিয়ার পুত্র প্রবাসী রিমন মিয়ার সাথে প্রায় ১২ বছর পূর্বে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর গ্রামের মনির মিয়া মেয়ে খাদিজা বেগমের (২৮) বিয়ে হয়। দীর্ঘ ১২ বছর ধরেই প্রবাসী রিমন। করোনার কারণে সম্প্রতি দেশে আসেন। এদিকে দাম্পত্য জীবনে তাদের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি সিঙ্গারবিল বাজারের কুদ্দুস ডাক্তারের পুত্র সজিব মিয়ার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়ায় গৃহবধূ খাদিজা। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী রিমন মিয়া তার স্ত্রীকে বাঁধা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু স্ত্রী বিপথ থেকে ফিরে না আসায় বাড়ছিলো দাম্পত্য কলহ। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে প্রেমিকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার সময় খোদ স্বামীর কাছে ধরা পড়েন গৃহবধূ খাদিজা। এ নিয়ে বচসা চলায় প্রেমিকের কথায় খাদিজা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্বামীকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, রিমনের উপর হামলা চালিয়ে কোপানোর পর খাদিজার মা-বাবা এবং প্রেমিক সজীবসহ ৭/৮ জন যুবক খাদিজাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখম রিমনের মা আনু বেগম জানায়, খাদিজার পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়াতেই সে আমার ছেলে রিমনকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়েছে।
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘পরকীয়ার জেরেই এই হামলার ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।