এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
একই গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছিলো গোষ্ঠিগত বিরোধ। এরই জেরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তিন ভাই ও ভগ্নিপতি মিলে স্বামী পরিত্যাক্তা বোনকে করা হয় হত্যা! প্রতিপক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তির নামে করা হয় হত্যা মামলা। অবশেষ দু’বছরের মাথায় ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের ভাদুঘরস্থ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার নাসিরনগর উপজেলা এলাকার চাঞ্চল্যকর রফিজা খাতুন হত্যার রহস্য উদঘাটনের তথ্য উপস্থাপনসহ সেই হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা তুলে ধরেন জেলা পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, জেলার নাসিরনগর উপজেলা রামপুর গ্রামে আবু কালাম ও মূছা মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠিগত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বিগত ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর রামপুর গ্রামের দরবেশ মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপর দুই ভাই, ভগ্নিপতিসহ অপরাপর সহযোগীদের নিয়ে তার বোন রফিজা খাতুনকে বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে হত্যা করে। পরে নিজেই বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৫৭ জনের নামে মামলা করেন। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর হওয়ায় ঘটনাটির তদন্তভার ন্যাস্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআই’র কাছে। পিবিআই দীর্ঘদিন তদন্ত করে নিহতের ভাই সোহাগ মিয়া, চাচাত ভাই মো. আক্কাছ মিয়া ও ভগ্নিপতির ভাই পরশ মিয়া নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা পিবিআই’র কাছে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এতে নিহতের ভাই মূছা, মোবারক, সোহাগ ও ভগ্নিপতি জয়নাল ও তার ভাই পরশসহ সহযোগীরা মিলে রফিজা খাতুনকে হত্যার রহস্য বেড়িয়ে আসে। তিনি আরো জানান, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।