প্রফেসর জোহরা আনিস ও স্বজনদের স্মরণে কুমিল্লাস্থ কসবা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের শোকসভা

এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লাস্থ কসবা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রত্নগর্ভা মা বেগম ও রোকেয়া পদক প্রাপ্ত নারী নেত্রী প্রফেসর জোহরা আনিস সহ স্বজনদের মৃত্যুতে শোক ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আবদুস ছালাম, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপসচিব ড. সফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মেজর মো: ইয়াকুব আলী ভূইয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো: আজহারুল ইসলাম, কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তনের (টাউনহল) সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর কাজী মো: মুজিবুর রহমান, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা মনি, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফ মোর্শেদ খান, কুমিল্লাস্থ কসবা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপদেষ্টা সমন্বয়ক সাংবাদিক এমদাদুল হক সোহাগ প্রমুখ। সংগঠনের সভাপতি নুরুল আজম আরজুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাইম মিয়ার সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর শিকদার, নবাব ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আজাদ সরকার লিটন, কুমিল্লাস্থ কসবা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদির তারেক, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শরীফ উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম প্রমুখ। প্রফেসর জোহরা আনিসের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি সালমা আক্তার ঝুমুর।

প্রফেসর জোহরা আনিস সম্পর্কে বক্তরা বলেন, প্রফেসর জোহরা আনিস নারী মুক্তি আন্দোলন ও নারীর ক্ষমতায়নের বলিষ্ঠ অনুপ্রেরণা। তিনি মানুষের জন্য কাজ করতেন, মানুষকে ভালোবাসতেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করে সমাজের বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতি করেছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে অধ্যাপনা করেছেন। ছাত্রজীবন ও অধ্যাপনা করাকালীন সময়ে তিনি বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃত্ত ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া গ্রামের মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য উৎসাহ অনুপ্রেরণা যুগিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনেও সফলতা লাভ করেছেন। দুই মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অপর ছেলে ডা. আরিফ মোর্শেদ খান কুমিল্লার প্রখ্যাত নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ। পেয়েছেন রত্নগর্ভা মা ও বেগম রোকেয়া পদক সহ বিভিন্ন পুরষ্কার। তাঁর কর্মময় জীবন তাকে মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে। তিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রেরণার আলোক বর্তিকা হয়ে কাজ করবে। তাকে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে বাঁচিয়ে রাখার জন্য স্মারক গ্রন্থ বের করার জন্য প্রস্তাবনা করেন আলোচকগণ।

স্মরণসভায় সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিআরটিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলামের ভগ্নিপতি ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ইসমাইল সরকার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর ইসলামের পিতা মো: জালাল উদ্দিন ভূইয়া, অর্থ সম্পাদক মাসুম আহম্মেদের বাবা মো: তাজুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

 

Post Under