এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
যৌতুকের জন্যে স্ত্রীকে পিটিয়ে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন সিদ্দিক এখন কারাগারে। রাজধানী ঢাকার বাড্ডা থানা পুলিশ গত ৮ অক্টোবর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে পাঠায় জেলহাজতে। ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের ভিসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ বিন সিদ্দিকের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশাইর গ্রামে।
রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় বসবাসকারী ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের ভিসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ গত ২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন তার স্ত্রী তানজিনা নৌরিন মিশু। দায়েরকৃত মামলায় স্বামী ছাড়াও চাচা শ্বশুর মো. জালাল (৫৫), শাশুড়ি মমতাজ বেগম (৫৫), ননদ মার্জিয়া (৩২) ও ননদ জামাই আরিফকে (৩৮) আসামী করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিগত ২০১৮ সালে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে মিশুর সাথে বিয়ে হয় মোহাম্মদ বিন সিদ্দিকের (৩৪)। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দেয়া হয় নগদ তিন লাখ টাকা ও দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র। এরপর ব্যবসা করার জন্যে আরো পাঁচ লাখ টাকা দাবী করেন সিদ্দিক। এই টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকেন। অত্যাচারে টিকতে না পেরে মিশু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিত্রালয়ে চলে আসেন। গত ৪ আগস্ট বিষয়টি মীমাংসার জন্যে সিদ্দিকের চাচা মো. জালালের মধ্যস্থতায় মিশুর পিত্রালয়ে সালিশে সভা বসেন। সেখানে আবারো এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা না দিলে মিশুকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবে বলে হুমকী দেয় সিদ্দিক। মিশু এর প্রতিবাদ করলে ছিদ্দিক তার গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় পেটে পিঠে লাথি মেরে তাকে আহত করে। এই ঘটনায় স্ত্রী মিশু বাদী হয়ে স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেন। এই মামলায় ৮ অক্টোবর ঢাকার বাড্ডা থানা পুলিশ মোহাম্মদ বিন সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।