সুজন মজুমদারঃ
আজ ২৬শে জুন (শনিবার) ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ইউএনও হিসাবে যোগদান করলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার খাগদি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান ও কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়নের রাজামারা গ্রামের শাহনুর আলমের স্ত্রী রুমানা আক্তার।
জনাব রুমানা আক্তার এর স্বামী শাহনুর আলম হলেন পেশায় ব্যাংকার ; বরুড়ার পরিচিত মুখ, সমাজকর্মী, একজন ভালো মানুষ। বিগত তিন দশক ধরে বরুড়া ছাত্রকল্যাণ, বরুড়া ফাউন্ডেশন, বরুড়া জনকল্যানসহ বরুড়ার শিক্ষা-জনসেবা-অধিকার রক্ষায় একজন আইকন ও নিবেদিত প্রান।তিনি চট্টগ্রামস্থ বরুড়া জনকল্যান সমিতির প্রতিসঠাতা সেক্রেটারি।
আখাউড়া উপজেলায় নবনিযুক্ত ইউএনও মাদারিপুর ডনোভান সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও ফরিদপুর সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। শামসুন্নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী ছিলেন।তিনি ক্লিনিকাল সাইকোলজিতে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
রুমানা আক্তার শিক্ষাজীবন শেষ করে বাংলাদেশ স্কাউটস এ এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ৩০তম বিসিএস এ শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে শিক্ষকতা করেন চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও খুলনা সরকারী বি এল কলেজে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ৩৩ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বরিশাল জেলা কালেক্টরেট এ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যোগদান করেন। তারপর ন্যস্ত হন ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা ও সিদ্দিরগঞ্জ সার্কেলে সহকারী কমিশনার(ভুমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসাবে পদন্নোতি পাওয়ার পর পুনরায় ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ঊপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। নবনিযুক্ত ইউএনও রুমানা আক্তার সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী।
উল্লেখ্য, তিনি কর্মজীবন অবস্থায় ২০১৪সালে ২৫শে ডিসেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।