এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীগৃহ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন সন্তানের জননী রিমা বেগমসহ পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই নারীর মরদেহ। তন্মধ্যে নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধারকৃত মহিলার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতদের মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। চলছে ঘটনার তদন্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বড়িউড়া গ্রামে স্বামীর ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ রিমা বেগমের (২৫) লাশ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ রিমার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী মোকলেস মিয়া তার স্ত্রীকে না জানিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলতে আপত্তি জানানোর কারণে মোকলেস প্রায়শই রিমাকে মারধর করতো। এরই ধারাবাহিকতায় রিমাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল থানা পুলিশ বাড়িউড়া গ্রামের স্বামীগৃহ থেকে গৃহবধূ রিমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরো পড়ুনঃ
অপরদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের উত্তর দাশকান্দি গ্রামে মেঘনা নদী থেকে অনুমান ৪৫ বছর বয়েসী অজ্ঞাতনাম এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ কালো রঙের বোরখা পরিহিত ওই মহিলার মরদেহ উদ্ধার করে। তার নাম-পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে।