এইচ.এম.সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষন নিপীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার নেতাকর্মীরা। রোববার (১১ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল এবং কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় জেলা ছাত্রমৈত্রীর নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা নিয়ে মামববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রমৈত্রীর আহবায়ক মুহিদ শারদ, যুগ্ম আহবায়ক ফাহিম মুনতাছির, মিতু আক্তার ও রাহিমা আক্তার অর্পা। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি ধর্ষণ করে তারা মনে করে ধর্ষণ করে পার পাওয়া যায়। এমন ব্যক্তিদের আইনের মাধ্যমে শাস্তির নিশ্চয়তা দাবীতে আজ আমরা প্রতিবাদ করছি। তারা বলেন ১৮৬০ সালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। ধর্ষণের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দণ্ডের বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জেলা ছাত্রমৈত্রীর আহবায়ক মুহিদ শারদ বলেন, আমাদের দাবী একটাই। যদি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ভাই ভাই রাজনীতির কারণে ধর্ষণ করেও বুক ফুলিয়ে হাটে এবং তারা যদি মনে করে তারা আইনের আওতার বাইরে। তাদেরকে বুঝাতে হবে যে কোনো অপরাধী আইরে আওতার বাইরে নয়। এই একটা মাত্র দাবীতেই আমরা আজকে সমাবেত হয়েছি। যুগ্ম আহবায়ক ফাহিম মুনতাছির বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশের সংবিধান দেখি তাহলে সেখানে আছে ১৮৬০ সালে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। ধর্ষণের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। মিতু আক্তার বলেন, আজকে আমরা দাড়িয়েছি মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য। আমি যখন বাসা থেকে বের হই আমার মা জানে না আমি বাসায় ফিরব কিনা। কারণ আমি হাজারো মানুষের চোখে ও মুখের ধর্ষণের শিকার হই। আমি যে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাব না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আজকে আমরা নারীর নিশ্চয়তার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি। রাহিমা আক্তার অপা বলেন, সারাদেশে ধর্ষন অব্যাহত আছে। আমরা নারী তবে আমাদেরকে সেই মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না। আমরা ধর্ষণের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেখতে চাই।