এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ মিলেছে। এই ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে হাসপাতালে। সোমবার (১২ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে জেলা শহরের পুরাতন জেল রোডে অবস্থিত ‘নিউ ল্যাব এইড ডায়াগনষ্টিক এণ্ড হাসপাতাল’ নামের বেসরকারি হাসপাতালে এই ঘটনার পর পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
রোগীর স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, গত তিনদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলা এলাকার গৃহবধূ মাকসুদা আক্তার (৪৫) ঠাণ্ডা, জ্বর নিয়ে শহরের কুমারশীল মোড় এলাকায় নিউ ল্যাব এইড ডায়াগনষ্টিক এণ্ড হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তিনি ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাসুমা কাউসারের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থবোধ করায় গত রোববার রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেন। তবে রোগীর শরীরে রক্ত শূন্যতা থাকায় ডা. সৈয়দা মাসুমা কাউসার রোগীকে এক ব্যাগ রক্ত দেওয়ার জন্যে পরামর্শ দেন। এ অবস্থায় সোমবার রাতে রাতে রোগীকে রক্ত দেওয়া অবস্থায় মৃত্যু হয় গৃহবধূ মাকসুদা আক্তারের। খবর পেয়ে তার স্বজনরা রাতে হাসপাতালটিতে গিয়ে কর্মচারী ও নার্সদের উপর চড়াও হন। বিক্ষুব্ধরা হাসপাতালের চিকিৎসকের কক্ষ, কেবিনের দরজা ও অফিস কক্ষসহ অন্যান্য ইউনিটে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলার সময় হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎকেরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা এ ঘটনার বিচার দাবী করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক জীবন বলেন, দক্ষিণ পৈরতলার মাকসুদা আক্তার নামের গৃহবধূ নিমোনিয়া জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। রোগীর রক্তশূণ্যতা থাকার ডাক্তারের পরামর্শে রক্ত দিতে গেলে ভুল চিকিৎসার কারণে রক্ত দেওয়ার সাথে সাথেই তিনি মারা যান। আমরা এর বিচার দাবী করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবদুর রহিম বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।