ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকের টাকা না দেয়ায় মেয়ের হাতে মা খুন

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাদকের টাকা না দেয়ায় মেয়ে পাপিয়ার কাঁচির আঘাতে খুন হন পঞ্চাশোর্ধ মা রহিমা বেগম। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে মর্গে এবং মাতৃঘাতিনী মেয়ে পাপিয়া আক্তারকে (২৬) আটক করেছে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের দশানি গ্রামে ঘটে বর্বরোচিত এই ঘটনা। নিহত রহিমা বেগম (৫৫) জেলার আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রাম গ্রামের পুলিশ সদস্য বাবুল মিয়ার স্ত্রী। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে রহিমা বেগম সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবারের লোকজন, এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়,পুলিশ সদস্য বাবুল মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম স্ত্রী রহিমা বেগম সন্তানদের নিয়ে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের দশানি গ্রামস্থ পিত্রালয়ে বসবাস করতেন। রহিমা বেগমের মেয়ে পাপিয়ারও প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর আইয়ুবপুর গ্রামের ইসহাক মিয়ার সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তার একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই পাপিয়া মাদক সেবন করতো। বিভিন্ন সময় মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সকলকে বিভিন্নভাবে জ্বালাতন করতো। কয়েকবার তার মাকে খুন করারও চেষ্টা করেছে। রোববার দুপুরে রহিমা বেগম বাড়িতে সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করছিলেন।এসময় মেয়ে পাপিয়া এসে মাদকের জন্য টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় পাপিয়া কাপড় কাটার কাঁচি তার মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা রহিমা বেগম মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোসহ মাতৃঘাতিনী পাপিয়াকে আটক করেছে।
বাঞ্ছারাপুর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার দায়ে ঘাতক মেয়ে পাপিয়াকে আটক করা হয়েছে।
Post Under