এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশুগঞ্জে সবুজ প্রকল্পে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। চারলেন প্রকল্পের বালুতে সেচনালা ভরাটে কাঙ্খিত মাত্রায় পানি পাচ্ছেনা কৃষকরা। রোপনকৃত বহু জমি শুকিয়ে হচ্ছে চৌচির, আবার বিপুল পরিমাণ জমি এখনো রয়ে গেছে অনাবাদি। ফলে এই প্রকল্পে চলতি বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা। পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রজেক্টের নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণ, প্রধান রিজার্ভার পুকুর পুন:খনন, প্রকল্পের স্থায়ী ও টেকসই রূপদান এবং প্রকল্প এলাকা সম্প্রসারণ দাবীতে মানববন্ধন করেছেন কৃষকরা। অনতিবিলম্বে দাবী বাস্তবায়িত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয়া হয় মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বেড়তলা বাজারের সামনে আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প রক্ষা কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে পালিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুনঃ
স্থানীয় কৃষক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আশগঞ্জ সবুজ প্রকল্প রক্ষা কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম আহবায়ক হোসাইন আহমেদ তফছির, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নাসির, হাজী মোবারক হোসেন, কালীকচ্ছ আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক হাজী মো. মজিবুর রহমান, ডা. আবদুল কুদ্দুস, আবদুর রশীদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ভরা মৌসুমেও এলাকার কৃষকরা এখনো সেচের পানি না পেয়ে জমি রোপন করতে পারেনাই। পানির জন্য অনেক এলাকার জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বক্তারা নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা নিশ্চিত, আশুগঞ্জে ভরাটকৃত প্রধান রিজার্ভার পুকুর পুণ:খনন, প্রকল্পের স্থায়ী ও টেকসই রূপদান এবং প্রকল্প এলাকা সম্প্রসারণ দাবী জানান। অনতিবিলম্বে কৃষকদের ন্যায্য দাবী বাস্তবায়িত না করা হলে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি উচ্চচারণ করেন।
প্রসঙ্গত, চলমান আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-আখাউড়া সড়কের চারলেনের নির্মাণ কাজের জন্য প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারউপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আশগঞ্জের সোহাগপুরে সেচ নালার বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকশ’ বিঘার রোপনকৃত জমি ও পুকুর তলিয়ে গেলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষক ও মৎস্য খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া চারলেন প্রকল্পের বালু পড়ে সেচনালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা কাঙ্খিত মাত্রায় পানি না পাওয়ায় রোপনকৃত অনেক জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। আবার বিপুল পরিমাণ জমি এখনো রয়ে গেছে অনাবাদি। ফলে প্রকল্পে চলতি বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।