কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ‘মাদক ব্যবসায়ীদের’ গুলিতে মহিউদ্দিন সরকার নাইম (২৮) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাতে উপজেলার শঙ্কুচাইল সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সদস্য নাইম স্থানীয় ডাক প্রতিদিনের সাংবাদিক ছিলেন। এর আগে আনন্দ টিভিতে কাজ করেছেন। তিনি উপজেলার সরকার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামের মোশাররফ সরকারের ছেলে।
সংবাদ সংগ্রহের জন্য শঙ্কুচাইল সীমান্তে গেলে একদল মাদক কারবারি তাকে এলোপাতাথাড়ি গুলি করেছে বলে ধারণা নিহতের পরিবারের।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দারাবাদ নগর গ্রামের রাজু নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নাইমকে গুলি করে হত্যা করেছেন।
পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ভারতীয় সীমান্তে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নাইম নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাইমকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে ৪-৫টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহতের পরিবার সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য নাইম শঙ্কুচাইল সীমান্ত এলাকায় গেলে চিহ্নিত একটি মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। এর আগে নাইম ওই মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। তার জেরেই তাকে হত্যা করা হতে পারে।
এদিকে সাংবাদিক নাইম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সোহেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান এ হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক নাইম হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জাকির। তিনি বলেন, নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে কুমিল্লার সাংবাদিকরা চরম ক্ষুদ্ধ ও আতঙ্কিত। অবিলম্বে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।