মার্কেট খুলে দেয়ার দাবিতে কুমিল্লায় ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন, বিক্ষোভ

এমদাদুল হক সোহাগ:
শপিংমল খুলে দিয়ে ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে ধংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার দাবিতে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স ও কান্দিরপাড় এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা। ব্যবসায়ীদের দাবি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন অন্তন অল্প সময়ের জন্য হলেও শপিংমল খুলে দিলে এ যাত্রায় ব্যবসীরা কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে। লকডাউন আওতার বাইরে রেখে শপিংমল গুলো খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়। যদি দাবি না মানা হয় তাহলে রাস্থায় বসে আন্দোলন করার হুশিয়ারি দেন ব্যবসায়ী নেতারা।
সকাল সাড়ে দশটায় কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজার সামনে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা। এসময় তারা বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার আগে সরকার উদাসিনতা দেখিয়েছে। যার কারনে করোনার প্রকোপ বেড়েছে। কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এই লকডাউন ঘোষণায় ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। লকডাউন দেশের কোথাও মানা হচ্ছেনা বলেও দাবি করেন তারা। তাদের প্রশ্ন বই মেলা চলতে পারলে শপিংমলও বন্ধ থাকবে কেন? বই মেলার মতো শপিংমলও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলে দেয়া হউক।

গত বছর লকডাউনের কারনে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেনি। সরকার থেকে প্রণোদনা দেয়ার কথা থাকলেও কোন প্রকার প্রণোদনা দেয়া হয়নি। বিদ্যুত বিল, ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হয়েছে। এ বছর ব্যবসা করার জন্য ব্যবসায়ীরা তাদের সকল সঞ্চয়, পারিবারিক, ব্যক্তি ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে পণ্য মজুদ করেছে। অথচ সরকারের এই লকডাউন ঘোষণায় দিশেহারা হয়ে পরেছে সারা বাংলার ব্যবসায়ীরা। তারা আরো বলেন, ব্যসায়ীরা বাঁচলে তাদের কর্মচারী ও তাদের পরিবার নিয়ে বাঁতে পারবে।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নুরে আলম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম ভূইয়া, সহ সভাপতি মো: জহাকির হোসেন, সেলিম আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, অর্থ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস সুজাত প্রমুখ।
কান্দিরপাড় এলাকায় খন্দকার হক টাওয়ার, নিউ মার্কেট, ছাত্তার খান কমপ্লেক্স, আনন্দ সিটি সেন্টার, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ারের ব্যবসায়ীরা সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন। এসময় তারা বিক্ষোভ করেন। কুমিল্লা দোকান মালিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, গত বছর আমরা ব্যবসায় করিনি। এ বছর ব্যবসা করতে না পারলে আমরা নি:স্ব হয়ে যাবো। আমাদের দাবি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে হলেও মার্কেটগুলো খুলে দেন। যদি আমাদের এই দাবি না মানেন তাহলে রাস্থায় বসে পড়বো। আমাদের রাস্থায় নামতে বাধ্য করবেন না।

Post Under