শায়খুল হাদীস অধ্যক্ষ আল্লামা মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ( রহঃ) এর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

দেশ বরেণ্য আলেমে দ্বীন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যক্ষ আল্লামা আব্দুল মতিন (রহ.) স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান ১৪ জুন রবিবার বেলা ১১টায় অধ্যক্ষ মাওলানা মো. একরাম হোসাইন’র সভাপতিত্বে সুর সম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব স্বনামধন্য আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ ডক্টর এ কে এম মাহবুবুর রহমান। স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক এডভোকেট মো: ইসলাম উদ্দিন দুলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন; অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমাদ, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক, প্রফেসর নূর মোহাম্মদ, অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ আহমাদ,অধ্যক্ষ মাওলানা ইমাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মহিউদ্দীন মোল্লা, অধ্যক্ষ এনামুল হক কুতুবি, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হান্নান, অধ্যক্ষ মওলানা আব্দুল হক আল আজাদ, মুহাদ্দিস মাওলানা ইমামুদ্দিন, মাওলানা আব্দুল মতিন, সৈয়দ জাফল কুদ্দুস গালিব, এডভোকেট সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান নোমান, অধ্যক্ষ ইলিয়াস মিয়া, অধ্যাপক শেখ কামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ শেখ তাজুল ইসলাম, মাওলানা তৌফিকুল বারী, মাওলানা মুহতাসিম বিল্লাহ, মাওলানা রাফিউদ্দিন, মাওলানা আবুল ফায়েজ, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাস্টার আবুল বায়ান, মাওলানা আল আমিন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা মহিউদ্দিন, মাসুম বিল্লাহ আশরাফি, আব্দুল কাদের নোমান, মাওলানা ইব্রাহিম, মাওলানা আবু রায়হান, তৌফিক আহমেদ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসসহ বিশিষ্ট সমাজসেবকবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, অধ্যাপক মাওলানা মো: বেলাল হোসাইন।

স্মরণসভায় মরহুমের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলেন, আল্লামা আব্দুল মতিন (রহ.) ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান ইসলামি চিন্তাবিদ, মুফাসসির এবং যুগান্তকারী আলেম। কর্মজীবনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর দারুচ্ছুন্নাহ কামিল মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ এবং কুমিল্লা ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়ামে নিয়মিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করতেন। কামিল পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক ও মৌখিক পরীক্ষার বিশেষজ্ঞ হিসেবে আজীবন দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি শিক্ষা ও দ্বীনি খেদমতে আজীবন নিবেদিত ছিলেন। তিনি নিজ অর্থায়নে স্বীয় জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী নিজগ্রাম মধুপুরের পারিবারিক গোরস্থানে স্বীয় সহধর্মিণীর কবরের পার্শ্বে দাফন করা হয়।

Post Under