শিক্ষাবোর্ড থেকে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার মেসেজ দিয়ে প্রতারণা

এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নামে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নামে প্রতারণা চালানো হচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা নেয়ার জন্য বিকাশ নাম্বার চাওয়া হচ্ছে এবং সেই নাম্বারে পিন পাঠিয়ে কৌশলে বোকা বানিয়ে উল্টো বিকাশ একাউন্টি থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছ। এমন প্রলোভনে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক তাদের বিকাশ একাউন্টের টাকা হারাচ্ছেন। একজন অভিযোগকারী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা ১৩ মিনিটে ০১৮১০৮৫২৯১৩ নাম্বার থেকে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে বলা হয়, প্রিয় শিক্ষার্থী (কোভিড-১৯) এর কারনে তোমাদের উপবৃত্তির ৪২০০টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহণের জন্য নিম্নোক্ত শিক্ষাবোর্ডের নাম্বারে যোগাযোগ করুণ। মোবা: ০১৮৩৮০০৯০৬৮ গোপন নম্বর ১২৩০০।
এমন মেসেজ দেখে উপোরক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে, তরুণ কন্ঠে একজন যুবক নিজেকে শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে জাননা, আপনার উপবৃত্তির টাকা নিতে হলে আগে আপনার বিকাশ নাম্বারটি বলুন। আপনার বিকাশ নাম্বারে একটি কোড পাঠানো হয়েছে, সেই কোডটি বলুন। বিষয়টি ভুক্তভোগী বুঝতে পারলে ওই প্রান্ত থেকে সংযোগ বিচ্ছন্ন করে দেন কথিত প্রতারক শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তা। ট্রুকলারে সার্চ দিয়ে দেখা যায়, নাম্বারটি বিকাশ প্রতারক নামে সেভ করা আছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারক চক্র বিভিন্নভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একেক সময় একেক রকম প্রতারণা করে যাচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে উপবৃত্তির কথা বলে বেশি প্রতারণা করা হচ্ছে। মূলত বিকাশের একাউন্ট হ্যাক করে টাকা নিয়ে যাওয়ার প্রতারক চক্র এটি।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ডেপুটি কন্ট্রোলার মো: সহিদুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারকেরা টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। রেজাল্ট পাল্টিয়ে দেয়া, কমিটির নাম ভাঙ্গিয়ে বিকাশে টাকা চাওয়া, উপবৃত্তির দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা উপায়ে তারা সময়ে সময়ে প্রতারণা করছে। এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড থেকে থানায় জিডি করা আছে এবং পুলিশ সুপার, কোতয়ালী মডেল থানায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তাছাড়া, আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্টটের প্রতারণার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বারবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে।

কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার বলেন, প্রতারণা বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতারককের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Post Under